ছোট্ট আয়েশার চিঠি : লন্ডনে মুজিব ও ভুট্টো

ছোট্ট আয়েশার চিঠি : লন্ডনে মুজিব ও ভুট্টো

এটিও একাত্তরের অনামা লাখো চিঠির একটি। লন্ডন প্রবাসী ৯ বছর বয়সী আয়েশা মতিন চিঠিটা লিখেছিলো ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টারকে। বঙ্গবন্ধুকে ফিরিয়ে দাও। প্রধানমন্ত্রী হিথ জানিয়েছিলেন ব্যাপারটি দেখবেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ষোলকলা ছোট্ট আয়েশার বোঝার কথা নয়। তাকে চমৎকৃত করে ঠিকই পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনেই উড়ে এলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার মুক্তির পেছনে ব্রিটেনের দূতিয়ালী বা ছোট্ট আয়েশার আকুতির ভূমিকাটা কতখানি ছিলো তা এই পোস্টের প্রতিপাদ্য নয়। এটি সেইসব দুর্মূখের সামনে বঙ্গবন্ধুর ইস্পাত কঠিন ব্যক্তিত্বের একটি দিক তুলে ধরার প্রয়াসমাত্র। দেখ শালারা জাতীর পিতা কারে বলি!
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২। লন্ডনে এটি ছিলো বঙ্গবন্ধুর প্রথম প্রেস কনফারেন্স। মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম। একটি স্বাধীন দেশের কর্ণধার হিসেবে প্রথম। সেই প্রেস কনফারেন্সেই সেই ভরা মজলিশে বঙ্গবন্ধু ব্রিটিশদের কাছে দাবি জানালেন, আমাদের এতগুলো বছর শোষণ করেছো, অনেক নিয়েছো, এবার তার থেকে কিছু ফেরত দাও আমাদের। আমার দূখী দেশটায় এখন কিছু নেই, আছে শুধু লাশ আর ভুখা মানুষের দল…
ঠিক সপ্তাহ দুয়েক আগে (১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১) পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের অস্তিত্ব স্বীকারই করেননি। বাংলাদেশকে কেউ স্বীকৃতি দিলে সেটা হোস্টাইল অ্যাক্ট বলে গন্য করবে পাকিস্তান- সোজাসাপ্টা কথা তার। পাকিস্তান ভাঙ্গেনি, পাকিস্তান ভাঙবে না- এই জাতীয় প্রলাপ বকে গেছেন। দুটো ফুটেজই তুলে দিলাম। মার্চ আমাদের চেতনার মাস। ভুট্টোর চেলাদের থেকে দূরে থাকার, তাদের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার মাস। তাদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়ার মাস।
^উপরে যেতে ক্লিক করুন