শেখ হাসিনার সরকারের দ্বিতীয় আমলে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে গৃহীত কার্যক্রম সমূহের আংশিক বিবরণ




. ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
আলেম-ওলামাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল
দেশে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। শেখ
হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি আমলে নেন
এবং তার দ্বিতীয় আমলে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
. ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা
দেশের ইমাম মুয়াজ্জিনদের কল্যণে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১)ইমাম-মুয়াজ্জিন
কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত কল্যান
ট্রাস্টে চলতি বছরে .০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এই ফান্ডে ২৮
কোটি টাকা জমা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার
ফান্ডে যথেষ্ঠ অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। তারা রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যে আলেম-ওলামাদের ব্যবহার করেছে

. ফতোয়া প্রদানের অধিকার বিষয়ে মহামান্য
আদালতের ঐতিহাসিক রায়
শেখ হাসিনা প্রথম শাসনামলে দেশে ফতোয়া প্রদানের
অধিকার স্বীকৃত হয়। মহামান্য আদালতের ঐতিহাসিক
রায়ের মাধ্যমে মুফতি, মুফাসসির মুহাদ্দিসগণকে
অধিকার দেয়া হয়েছে
. বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠন
শেখ হসিনার সরকারের জাতীয় উন্নয়নের স্রোতধারায়
কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষিত আলেমদের সম্পৃক্ত
করে তাদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণের জন্য
সরকারি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ গৃহীত
হয়। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি কওমি মুরব্বীগণের
সাথে মতবিনিময় করেন। অতঃপর ১০ এপ্রিল ২০১৩
তারিখে সরকারী এক প্রজ্ঞাপনের
মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাপনা,
শিক্ষাদানের বিষয় এবং কওমি শিক্ষা সনদের
সরকারী স্বীকৃতি প্রদানের
লক্ষ্যে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন
ইতোমধ্যে রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে এবং তা বিভিন্ন
মহলের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে
. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের
সরকারী সিদ্ধান্ত
সরকার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে ধর্মীয়
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে ২০১০ সালের ২০
জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক
ঘোষণা প্রদান করেন। এতে দেশের উল্লেখযোগ্য
সংখ্যক আলেম-ওলামার কর্মসংস্থানের সুযোগ
সৃষ্টি হয়
. পবিত্র কুরআন শরীফ ডিজিটালাইজেশন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১০ আগস্ট
পবিত্র কুরআন ডিজিটাল ওয়েবসাইটের শুভ উদ্বোধন
করেন। এতে দেশ বিদেশের সকল মুসলমানদের
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের সহজ অনুবাদ
বাংলা ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছেযার ব্যয় হয়েছে ৭৮ লক্ষ টাকা।
. বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সুউচ্চ মিনার
নির্মাণ
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য
বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে ১০৭ ফুট সুউচ্চ মিনার
তৈরি করা হয়েছে
. প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষানীতির
অন্তর্ভুক্তকরণ
জাতীয় শিক্ষানীতিতে মসজিদভিত্তিক শিশু
গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রাক-প্রাথমিক
শিক্ষার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে
. মসজিদভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম
প্রকল্পের ৭৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ প্রদান
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা মসজিদভিত্তিক শিশু
গণশিক্ষা প্রকল্পের ৭৬৮ কোটি ৩৩ লক্ষ
টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। এতে ৩২ হাজার আলেমের
কর্মসংস্থানের হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে
কোটি ১৮ লক্ষ শিশু-কিশোরকে প্রাক-প্রাথমিক
কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়েছে
১০. কওমি আলেম-ওলামাদের ইমাম প্রশিক্ষণের
ব্যবস্থাকরণ
কওমি আলেমগণের ইমাম প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ
সৃষ্টি করা হয়েছে। বর্তমানে লক্ষ ৭১ হাজার
ইমামকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে
১১. মসজিদ মাদ্রাসার আলেম-ওলামাগণকে বেসিক
কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আওতায় অন্তর্ভূক্তকরণ
শেখ হাসিনার শাসনামলেই প্রথম বারের মতো দেশের
ইমাম,খতিব দেশের আলেম-ওলামাগণকে বেসিক
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে
১২. বায়তুল মুকাররম মসজিদে মহিলাদের জন্য পৃথক
নামাজখানা নির্মাণ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি
বায়তুল মুকাররম মসজিদে মহিলাদের নামাজ আদায়ের
জন্য সুবিস্তৃত কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
আসার পর তাঁরই নির্দেশনায় ,৬০০ জন মহিলা এক
সাথে নামাজ আদায়ের সুযোগ রেখে পৃথকভাবে মহিলাদের
নামাজ অজুখানার ব্যবস্থা করা হয়েছে
১৩. ওআইসি মহাসচিব কর্তৃক ইসলামিক ফাউন্ডেশন
লাইব্রেরি ভবন উদ্বোধন ইসলামি জ্ঞান অর্জনের
সুযোগ সৃষ্টি
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
আসার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাঁর
আমন্ত্রণে ওআইসি এর মহাসচিব জনাব ইকমিলেদ্দীন
ইহসানাগলু ঢাকায় আগমন করেন এবং নভেম্বর
২০০৯ তারিখে ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর নবনির্মিত
লাইব্রেরি ভবন উদ্বোধন করেন। ফলে আলেম-
ওলামাগণের ইসলামি জ্ঞান অর্জনের সুযোগ
সৃষ্টি হয়েছে
১৪. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইমাম, আলেম-ওলামা
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে মানব সম্পদ উন্নয়নে সম্পৃক্তকরণ
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
আসার পর মানব সম্পদে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়
,৪৫০ জন ইমাম, আলেম-ওলামা ধর্মীয়
নেতৃবৃন্দকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে
১৫. ঐতিহাসিক জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ
সরকারি ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্তকরণ
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
আসার পর মহান জাতীয় সংসদে আইন করে চট্টগ্রামের
ঐতিহ্যবাহী জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ
সরকারি ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে ইসলামিক
ফাউন্ডেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে
১৬. মসজিদ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ৩৮
কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান     
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার
শাসনামলে দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মুসলিম ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য সর্বমোট ৩৮ কোটি ৭৩
লাখ টাকা ব্যয়ে ২১,৫২০টি মসজিদ ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা হয়েছে
১৭. ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের
উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান
শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঐতিহাসিক
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নের
লক্ষ্যে ১৫০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প
কুয়েত সরকারের সহায়তায় অচিরেই বাস্তবায়িত
হতে যাচ্ছে
১৮. উপজেলা পর্যায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস
স্থাপন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার দ্বিতীয়বারের
শাসনামলে ২০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখ জাতীয় ইমাম
সম্মেলনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস
উপজেলা পর্যন্ত স্থাপনের ঘোষণা দেন,
যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
১৯. মাধ্যমিক পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক
করা মাদ্রাসা অনার্স কোর্স চালু
বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম মাধ্যমিক
শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করেছেন।
তাঁর আমলে প্রণীত জাতীয়
শিক্ষানীতিতে এটি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১৭টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু
করা হয়েছে। বর্তমান সরকারই প্রথম মাদ্রাসার
ছাত্রদের বিদেশে চাকুরির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অর্থাৎ মাদ্রাসা শিক্ষাকে জাতীয় পর্যায়ে
আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদা মণ্ডিত করার
ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন
২০. সরকারি হজ্জ ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়
আসার পর তাঁর সরকার হজ ব্যবস্থাপনায়
শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে এবং বাংলাদেশ থেকে অধিক
সংখ্যক হজযাত্রী পাঠাবার গৌরব অর্জন করে
২০১৩ সালে হজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সৌদি সরকার
জানিয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ
প্রথম শ্রেষ্ঠ হয়েছে” (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব,
সেপ্টেম্বর ২০১৩) কেবল ২০১২ সালে বাংলাদেশ
হতে লক্ষ ২০ হাজার হাজী হজ্জে যেতে সক্ষম
হয়েছেন। যা বিগত বৎসরগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ

^উপরে যেতে ক্লিক করুন