মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

মঙ্গলবার ২ জুন ২০১৫ তারিখে রাত ৮ টা ০২ মিনিটে প্রকাশিত

কালের কণ্ঠ

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুবাংলাদেশপ্রেস ডেস্ক || পরিবহনে মুক্তিযোদ্ধাদের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানি থেকে বাঁচাতে সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আজ ঢাকা- কুমিল্লা রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শহীদমিনার পরিবহন পরিচালিত এ বাসের উদ্বোধন করেন। এসময় বাংলাদেশ শহীদমিনার পরিবহনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মমতাজ মিয়া , পরিচালক মনিরুল হক মন্টু এবং কবি লিটনসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ‘বাংলাদেশ শহীদমিনার পরিবহন’ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এই বাস সার্ভিসের আওতায় আজ মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশ শহীদমিনার পরিবহনের চারটি বাস ঢাকা থেকে কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত সড়কপথে চলাচল করবে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিনাভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন। তবে এই বাসে সাধারণ যাত্রীরা ঢাকা-ইলিয়টগঞ্জ জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন। একই রুটে আরও ছয়টি বাস শীঘ্রই চলাচল শুরু করবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক আলোচনায় বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যক্তিগত মালিকানায় ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই এবং উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আগামী জুলাই থেকে মাসিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ, চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়পত্র প্রদান অন্যতম।
আবদুল কুদ্দুছ বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রচার অব্যাহত রাখতে এই বিশেষায়িত প্রতিটি বাসের গায়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলনসহ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের আলোকচিত্র লাগানো থাকবে। এছাড়াও এই পরিবহনের প্রতিটি বাস থেকে আয়ের অংশ হতে ৫০০ টাকা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শহীদ পরিবারকে সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি বাসে চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “একটি বাস থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে একদিন অপমান করে নামিয়ে দিতে দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। সেদিনই ভেবেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফ্রি বাস চালু করা দরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের এই লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছি।” উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শহীদ মিনার পরিবহনের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা দুলা মিয়া বীরবিক্রমের ছোট ভাই। -
^উপরে যেতে ক্লিক করুন