- প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার, 28 জানুয়ারী 2014 14:41
বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আউটসোর্সিং বিপুল সম্ভাবনা ধারন করছে। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে বিভিন্ন সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশান তৈরি এমনকি সৃজনশীল লেখার মাধ্যমেও টাকা আয় করতে পারে। ইতোমধ্যে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। আউটসোর্সিং এ করা আয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের এই সুনাম অর্জনের ধারাবাহিকতায় সরকার এবার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভলপমেন্ট’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ হাজার নারীকে বেসিক আইটি লিটারেসি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার জনকে আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেসিক আইটি শিক্ষা দেওয়া। প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার জনবলকে বিশেষায়িত আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উচ্চতর আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়াও ১ হাজার ৯২০ জন সাংবাদিককে আউটসোর্সিং বিষয়ে সচেতন করবে সরকার।
লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভলপমেন্ট প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ব্যয় সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়। । পাশাপাশি মাস্টার ট্রেইনার তৈরির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কার্যক্রম। এছাড়া, আউটসোর্সিং বিষয়ে দেশব্যাপী মেলা, আঞ্চলিক পর্যায়ে ফ্রিল্যান্স বিষয়ে ওয়ার্কশপ, কনফারেন্স ও সেমিনার আয়োজন করা হবে। ৮০টি ল্যাপটপ, ৮০টি মডেম, ৪০টি পেন ড্রাইভ, ৫টি মাল্টি মিডিয়া প্রজেক্টর, ১টি ফটোকপিয়ারসহ প্রয়োজনীয় অফিস ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ এবং ১টি মাইক্রোবাস, ১টি জিপ ও ১টি ক্যারাভান জিপ কেনা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।
বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ অর্জনের জন্য আইসিটি সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার- ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অনলাইন আউটসোর্সিং প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রমের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।