- প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার, 20 জানুয়ারী 2014 17:12
ভবনধস, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও কারখানায় অগ্নিকান্ডের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর পরও থেমে নেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। ভারতীয় দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয় তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট ফিন্যান্স এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ৩.২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার। এতে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি আসে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংকের চিফ জেনারেল ম্যানেজার প্রহালাথান আয়ার পিটিআইকে বলেন, 'সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত হাতে না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার দেখে তৈরি পোশাকের রপ্তানি প্রবণতা অনুমান করা যায়।' তিনি বলেন, 'সফলভাবেই পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এ জন্য দেশটি রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৬.৮ বিলিয়ন ডলার হলেও ২০১২ সালে তা বেড়ে হয় ১৯.৯ বিলিয়ন ডলার। এতে দেখা যায়, বার্ষিক প্রবৃদ্ধি আসছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ করে। অন্যদিকে ২০০৫ সালে ভারতের পোশাক রপ্তানি ৮.৭ বিলিয়ন ডলার থাকলেও ২০১২ সালে তা হয় ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার। এতে ভারতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি আসছে মাত্র ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।'
আয়ার বলেন, 'বাংলাদেশ পোশাক তৈরিতে অবিঘ্নিতভাবে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছে, এমনকি রপ্তানির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরে পোশাককে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'তবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা প্রতিবেশী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভারতের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে।' তিনি জানান, পোশাকশিল্পের অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অফিস ভারতে থাকলেও তারা বাংলাদেশ কিংবা শ্রীলঙ্কা থেকে পোশাক ক্রয় করে।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪, কালের কন্ঠ