‘ কেমন করে দেশ চালাব? উপর থেকে নীচে নামতেই ৫০০ টাকা নেই’। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।



১৯৭২সালের পরবর্তী কোন এক সময়ের ঘটনা বঙ্গবন্ধুর একজন স্কুল শিক্ষক ঢাকায় এসেছেন তাঁর সাথে দেখা করতে ৩২নং বাড়ীতে যখন পৌছেন তখন বঙ্গবন্ধু দোতালায় অবস্থান করছেন এবং বাইরে বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকের আগমনের সংবাদ পেয়ে বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে আসেন এবং তাকে কদমবুসি করে কুসলাদি জিজ্ঞেস করেন এতদিন পরও ছাত্র মুজিব তাকে চিনতে পেরেছ দেখে খুশি হলেন বঙ্গবন্ধূ তাকে / দিন থেকে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন ওস্তাদ বললেন বেড়াবার মতন সময় নেই / দিন হয় বাড়ী থেকে এসেছি কিন্তু তুমি তো ভীষণ ব্যস্ত তাই দেখা করতে পারিনি আমি আজই চলে যাবশুধু তোমাকে একটু দেখতে এলামতুমি বঙ্গবন্ধু হয়েছো দেশের প্রধানমন্ত্রী , এতেই আমি খূশি বঙ্গবন্ধু বললেন এসেই চলে যাবেন তা কি করে হয়? অন্তত: একটু বসে চা পানি খেয়ে যান আমার একটু তাড়া আছে আমি এখনই বেরুবো এভাবে কিছু সময় কথা বলেন বঙ্গবন্ধু উপরে চলে গেলেন

বেয়ারাকে ডেকে বললেন,‘নীচে যে বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসে আছেন উনি আমার স্যার; ওনাকে নাস্তা দাওএবং পকেট থেকে দুখানা পাঁচশত টাকার নোট বেয়ারার হাতে দিয়ে বললেন এই টাকাটা স্যারের হাতে দিবে এবং বলবে আপনার জামা কাপড় বানানোর জন্য আমি দিয়েছি
বেয়ারা চা পরিবেশনের পর বৃদ্ধ শিক্ষকরে হাতে একখানা পাঁচশত টাকার নোট ধরিয়ে দিলেন এবং উনি যাতে তাড়াতাড়ি চলে যান সে জন্য বলল, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এখনই চলে যেতে বলেছেন একথা শুনে উনি তো হতবাক এবং চলে যাওয়ার তাগিদে উনার আত্মসম্মান বোধে লেগেছে তিনি বললেন, মুজিবকে ডাক, কেন আমাকে চলে যেত বলেছে আমি জিজ্ঞেস করে যাব আমি তো এমনিতেই চলে যাব, কিন্তু আমাকে চলে যেতে বলবে কেন? তাছাড়া আমাকে তো থেকে যাওয়ার জন্যও বলেছিল বেয়ারা সম্মুখ বিপদ উপলব্ধি করে বলল, না না আপনি এখনিই চলে যান উনার সাথে এখন আর দেখা হবেনা শিক্ষক বললেন, দেখা না করে আমি যাবই না মোটামুটি একটু সোরগোল বেধে গেছে ইতিমধ্যে কাপড় চোপড় পরে বঙ্গবন্ধু নীচে এসে উপস্থিত
বঙ্গবন্ধুকে দেখেই বৃদ্ধ শিক্ষক বললেন, মুজিব তুমি কেনই বা আমাকে পাঁচশত টাকা দিয়েছো আবার চলেও যেতে বলেছো আমি তো এমনিতেই চলে যাব তুমি না আমাকে চা খেয়ে যেতে বললে? বঙ্গবন্ধু কিছু বলার আগেই বেয়ারা বঙ্গবন্ধুর পা জড়িয়ে ধরল বঙ্গবন্ধু শুধু বললেন, আমার পা জড়িয়ে ধরছো কেন? ওনার পা ধরে ক্ষমা চাও বঙ্গবন্ধু বললেন, স্যার বড় অসুবিধায় আছি আপনিতো দেশে চলে যাবেন, আমি কোথায় যাব? আপনার জন্য একহাজার টাকা দিলাম নীচে নেমে আসতেই ৫০০ টাকা থাকেনা এই তো অবস্থা আমি এখানে বসে দেশবাসিকে যা দেই তাতো তাদের হাতে পৌছেনা আমি কেমন করে দেশ চালাবো? স্যার আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা: এস খালেকের কাছ থেকে শ্রুত এই ঘটনার বর্ণনা করেছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তফা
সূত্র- বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা- পৃ: ১৩১


১৯৭২ সালের পরবর্তী কোন এক সময়ের ঘটনা বঙ্গবন্ধুর একজন স্কুল শিক্ষক ঢাকায় এসেছেন তাঁর সাথে দেখা করতে ৩২নং বাড়ীতে যখন পৌছেন তখন বঙ্গবন্ধু দোতালায় অবস্থান করছেন এবং বাইরে বের হবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকের আগমনের সংবাদ পেয়ে বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে আসেন এবং তাকে কদমবুসি করে কুসলাদি জিজ্ঞেস করেন এতদিন পরও ছাত্র মুজিব তাকে চিনতে পেরেছ দেখে খুশি হলেন বঙ্গবন্ধূ তাকে / দিন থেকে যাবার জন্য অনুরোধ করলেন ওস্তাদ বললেন বেড়াবার মতন সময় নেই / দিন হয় বাড়ী থেকে এসেছি কিন্তু তুমি তো ভীষণ ব্যস্ত তাই দেখা করতে পারিনি আমি আজই চলে যাবশুধু তোমাকে একটু দেখতে এলামতুমি বঙ্গবন্ধু হয়েছো দেশের প্রধানমন্ত্রী , এতেই আমি খূশি বঙ্গবন্ধু বললেন এসেই চলে যাবেন তা কি করে হয়? অন্তত: একটু বসে চা পানি খেয়ে যান আমার একটু তাড়া আছে আমি এখনই বেরুবো এভাবে কিছু সময় কথা বলেন বঙ্গবন্ধু উপরে চলে গেলেন
বেয়ারাকে ডেকে বললেন,‘নীচে যে বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসে আছেন উনি আমার স্যার; ওনাকে নাস্তা দাওএবং পকেট থেকে দুখানা পাঁচশত টাকার নোট বেয়ারার হাতে দিয়ে বললেন এই টাকাটা স্যারের হাতে দিবে এবং বলবে আপনার জামা কাপড় বানানোর জন্য আমি দিয়েছি
বেয়ারা চা পরিবেশনের পর বৃদ্ধ শিক্ষকরে হাতে একখানা পাঁচশত টাকার নোট ধরিয়ে দিলেন এবং উনি যাতে তাড়াতাড়ি চলে যান সে জন্য বলল, বঙ্গবন্ধু আপনাকে এখনই চলে যেতে বলেছেন একথা শুনে উনি তো হতবাক এবং চলে যাওয়ার তাগিদে উনার আত্মসম্মান বোধে লেগেছে তিনি বললেন, মুজিবকে ডাক, কেন আমাকে চলে যেত বলেছে আমি জিজ্ঞেস করে যাব আমি তো এমনিতেই চলে যাব, কিন্তু আমাকে চলে যেতে বলবে কেন? তাছাড়া আমাকে তো থেকে যাওয়ার জন্যও বলেছিল বেয়ারা সম্মুখ বিপদ উপলব্ধি করে বলল, না না আপনি এখনিই চলে যান উনার সাথে এখন আর দেখা হবেনা শিক্ষক বললেন, দেখা না করে আমি যাবই না মোটামুটি একটু সোরগোল বেধে গেছে ইতিমধ্যে কাপড় চোপড় পরে বঙ্গবন্ধু নীচে এসে উপস্থিত
বঙ্গবন্ধুকে দেখেই বৃদ্ধ শিক্ষক বললেন, মুজিব তুমি কেনই বা আমাকে পাঁচশত টাকা দিয়েছো আবার চলেও যেতে বলেছো আমি তো এমনিতেই চলে যাব তুমি না আমাকে চা খেয়ে যেতে বললে? বঙ্গবন্ধু কিছু বলার আগেই বেয়ারা বঙ্গবন্ধুর পা জড়িয়ে ধরল বঙ্গবন্ধু শুধু বললেন, আমার পা জড়িয়ে ধরছো কেন? ওনার পা ধরে ক্ষমা চাও বঙ্গবন্ধু বললেন, স্যার বড় অসুবিধায় আছি আপনিতো দেশে চলে যাবেন, আমি কোথায় যাব? আপনার জন্য একহাজার টাকা দিলাম নীচে নেমে আসতেই ৫০০ টাকা থাকেনা এই তো অবস্থা আমি এখানে বসে দেশবাসিকে যা দেই তাতো তাদের হাতে পৌছেনা আমি কেমন করে দেশ চালাবো? স্যার আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডা: এস খালেকের কাছ থেকে শ্রুত এই ঘটনার বর্ণনা করেছেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তফা
সূত্র- বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকথা- পৃ: ১৩১
^উপরে যেতে ক্লিক করুন