পুরো নাম আকবর হোসেন পাঠান দুলু। বাংলা
চলচ্চিত্রে যিনি ফারুক নামেই অধিক পরিচিত। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত
‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু। সত্তর ও আশির
দশকে গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের ছবিতে অভিনয় করে হয়ে উঠেন জনপ্রিয় মুখ।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে ওঠা বসা তার।
ছয় দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার দায়ে ৩৭টি মামলাও ছিলো তার নামে। তাই অভিনয়ে
বাইরে তিনি একজন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের
স্নেহধন্য।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথা হয় তার সঙ্গে
সবশেষ ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ঘরের
লক্ষী’ ছবিতে আপনাকে দেখা গিয়েছিলো। তারপর বিভিন্ন সময় চলচ্চিত্রে ফেরার
গুঞ্জন শোনা গেলেও, এখন পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। তবে কি
চলচ্চিত্রে ফিরছেন না?
‘ঘরের লক্ষী’ ছবিটি ছিলো আমার অভিনীত শেষ ছবি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় আমার চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে সত্যটা হলো, আমার পক্ষে চলচ্চিত্রে ফেরা আর সম্ভব নয়। বাকিটা জীবন বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ আর টেক্সটাইল ব্যবসা নিয়েই থাকতে চাই।
‘ঘরের লক্ষী’ ছবিটি ছিলো আমার অভিনীত শেষ ছবি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় আমার চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে সত্যটা হলো, আমার পক্ষে চলচ্চিত্রে ফেরা আর সম্ভব নয়। বাকিটা জীবন বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ আর টেক্সটাইল ব্যবসা নিয়েই থাকতে চাই।
আজ বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত
হচ্ছে। যতটুকু জানা যায়, তাঁর বাড়িতে আপনার যাতায়াত ছিলো। তার সঙ্গে তেমন
কোন স্মৃতি কী আপনার মনে আছে?
বঙ্গবন্ধু আমার পিতৃতুল্য। আমি সব সমসয়ই তাঁর আশপাশে ঘুরঘুর করতাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার যেসব স্মৃতি রয়েছে তার প্রায় সবগুলোই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বলেছি। তারপরও একটা ঘটনা বারবার বলতে ইচ্ছে করে। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই ‘এরাও মানুষ’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছি। সে সময় একদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। হঠাৎ আমাকে দেখে তিনি বললেন, ‘কী রে তুই নাকি রং মাইখ্যা ঢং শুরু করছস’। কথাটা শুনে প্রায় কেঁদেই ফেললাম। কিন্তু কয়েক মুহুর্ত পর পেছন থেকে আমার কাঁধে হাত রেখে তিনি বললেন, ‘তুই যেখানে আছিস সেখান থেকে অনেক কিছু করা সম্ভব।’ এই ঘটনার কথা মনে হলে এখনও হারিয়ে যাই। দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা কেমন ছিলো?
বঙ্গবন্ধু এফডিসির প্রতিষ্ঠাতা। তার হাত ধরেই ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে এফডিসি বিল পাস হয়। আমরা আজ যে এফডিসি পেয়েছি, তা তাঁরই অবদান।
বঙ্গবন্ধু আমার পিতৃতুল্য। আমি সব সমসয়ই তাঁর আশপাশে ঘুরঘুর করতাম। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার যেসব স্মৃতি রয়েছে তার প্রায় সবগুলোই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বলেছি। তারপরও একটা ঘটনা বারবার বলতে ইচ্ছে করে। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই ‘এরাও মানুষ’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছি। সে সময় একদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। হঠাৎ আমাকে দেখে তিনি বললেন, ‘কী রে তুই নাকি রং মাইখ্যা ঢং শুরু করছস’। কথাটা শুনে প্রায় কেঁদেই ফেললাম। কিন্তু কয়েক মুহুর্ত পর পেছন থেকে আমার কাঁধে হাত রেখে তিনি বললেন, ‘তুই যেখানে আছিস সেখান থেকে অনেক কিছু করা সম্ভব।’ এই ঘটনার কথা মনে হলে এখনও হারিয়ে যাই। দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা কেমন ছিলো?
বঙ্গবন্ধু এফডিসির প্রতিষ্ঠাতা। তার হাত ধরেই ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে এফডিসি বিল পাস হয়। আমরা আজ যে এফডিসি পেয়েছি, তা তাঁরই অবদান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও, তাকে নিয়ে আজও কোন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি কেন?
চলচ্চিত্র একটা বৃহৎ বিষয়। এক সময় দেড় কিংবা দুই লাখ টাকা দিয়ে ছবি বানানো হতো। আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে, এখন ভাল একটি ছবি বানানোর জন্য ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আর সেটা যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন নির্ভর হয়, তাহলে আমি বলবো ৫শত কোটি টাকা প্রয়োজন। পর্দায় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বয়সের উপস্থাপন প্রয়োজন। এগুলো খুব কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল বিষয়। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন। তবে আমি যদি টাকাওয়ালা হতাম, তাহলে তাকে নিয়ে ঠিক ছবি বানানো শুরু করে দিতাম।
চলচ্চিত্র একটা বৃহৎ বিষয়। এক সময় দেড় কিংবা দুই লাখ টাকা দিয়ে ছবি বানানো হতো। আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে, এখন ভাল একটি ছবি বানানোর জন্য ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আর সেটা যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন নির্ভর হয়, তাহলে আমি বলবো ৫শত কোটি টাকা প্রয়োজন। পর্দায় বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বয়সের উপস্থাপন প্রয়োজন। এগুলো খুব কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল বিষয়। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারী সহযোগীতা প্রয়োজন। তবে আমি যদি টাকাওয়ালা হতাম, তাহলে তাকে নিয়ে ঠিক ছবি বানানো শুরু করে দিতাম।
যতটুকু শোনা যায়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপনিও একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন…
ফারুক: হ্যাঁ, সেটা প্রায় ২০-২৫ বছর আগের কথা। তখন ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেটা আর হলো না। আর এখন যদি তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ শুরু করি, তাহলে এনবিআর আমার ঘরে এসে বসে থাকবে। আমার টাকার উৎস জানতে চাইবে।
ফারুক: হ্যাঁ, সেটা প্রায় ২০-২৫ বছর আগের কথা। তখন ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেটা আর হলো না। আর এখন যদি তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ শুরু করি, তাহলে এনবিআর আমার ঘরে এসে বসে থাকবে। আমার টাকার উৎস জানতে চাইবে।
এই আগস্টেই আপনার জন্মদিন। এ উপলক্ষে কোন আয়োজন থাকছে কী?
পঁচাত্তরের পর থেকে জন্মদিন পালন করি না। কারণ এই আগস্ট মাসেই আমার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো। তারপরও আমাকে না জানিয়ে জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পঁচাত্তরের পর থেকে জন্মদিন পালন করি না। কারণ এই আগস্ট মাসেই আমার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো। তারপরও আমাকে না জানিয়ে জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আপনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে
ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য একবার আপনাকে সিঙ্গাপুরেও নিয়ে যাওয়া
হয়েছিলো। বর্তমান শারিরিক অবস্থা কেমন?
২০১৩ সালে কিডনির সমস্যা নিয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিলো। প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরি। বর্তমানে ভালই আছি। তেমন কোন সমস্যা নেই।
২০১৩ সালে কিডনির সমস্যা নিয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে ভর্তি হতে হয়েছিলো। প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরি। বর্তমানে ভালই আছি। তেমন কোন সমস্যা নেই।