আর কত অপচেষ্টা ইতিহাস বিকৃতির


আর কত অপচেষ্টা ইতিহাস বিকৃতিরবাংলাদেশ প্রেস || বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ইমেজ কে সাময়িক হেস্ত নেস্ত করার অথবা স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের কাছ থেকে বেনেফেসিয়ারি আদায় করতে হলে বেশী কিছুই করার দরকার নেই, ৭ই মার্চের ভাষণ টিকে নিয়ে বিকৃতি করলেই হয়। এমন ধারণা যারা করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন, তাদের উদ্দেশ্যেই বলছি -

গোটা জাতি ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ এর ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত ভাষণটিকে স্বাধীনতার ঘোষণা বলে জেনে এসেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সেদিন সগর্বে আহবান করেছিলেন -

“ এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম !
প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ ঘরে তোল,
তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’
এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা কিছু আছে,
আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে,
প্রত্যেক গ্রামে, পাড়ায়, মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গড়ে তুলুন।

আর স্বাধীনতার দালিলিক প্রমাণ হিসেবে এটাই ইতিহাসে বিদ্যমান। ১৯৭১ সনের ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু কে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। যাবার পূর্বে তিনি ওয়্যারলেস সেট এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যান। যা পরবর্তীতে চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতার থেকে প্রথমে এম এ হান্নান, পরে আবুল কাশেম সন্ধিপ এবং জিয়াউর রহমান ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। যে কারনে বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে ইতিহাসে পাতায় তুলে আনার জন্য সরবাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যাহোক, এ কে খন্দকারের পূর্বে আরও দুজন জীবিত ব্যক্তি বর্গ নাকি জয় পাকিস্তান বলতে শুনেছেন, একজন সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমান, অন্যজন শাহজাহান সিরাজ। অথচ, উপস্থিত ১০ লাখের অধিক শ্রোতার কেউই এমন শবদগুচ্ছ শুনেন নি শুধুমাত্র জয় বাংলা ছাড়া। বিচারপতি হাবিবুর রহমান নাকি পরবর্তীতে ৭ই মার্চের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন ৩ জানুয়ারির সাথে, অন্যদিকে শাহজাহান সিরাজ এর এমন উচ্চারন প্রয়োজন ছিল যেটা তার মন্ত্রী হবার কাজে লেগেছে। প্রশ্ন হল ? খন্দকার কি কারনে এমনটি লিখেছেন !


তার বইটির ১১ পৃষ্টায় তিনি লিখেছেন এভাবে –
আমি এই বই লেখার জন্য উদবুদ্ধ হয়েছি মুলত তরুন প্রজন্মের ইতিহাস জানার আগ্রহ থেকে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়, অথচ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে তারা বিভ্রান্তিতে পরে যাচ্ছে। সত্য ও মিথ্যাকে তারা আলাদা করতে পারছে না। আমার এই বই তাদের জন্য অরতাথ, নতুন প্রজন্মের বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর তার বই। তিই মুক্তিযুদ্ধে ২৮শে মে ১৯৭১ সাল থেকে অংশ নিয়েছেন।

৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ টি তিনি ক্যান্টেন ম্যান্ট এ বসে শুনেছেন যা তার বইয়ের ৩১ পৃষ্টায় তিনি বর্ণনা করেছেন।

খন্দকার কে উদ্দেশ্য করেই বলছি – আপনি আমাদের তরুন প্রজন্ম কে আহত করেছেন। গোটা জাতিকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টা করেছেন। তরুন প্রজন্মের ইতিহাস জানার ইচ্ছা অবশ্যই আছে তবে তা আপনার বা আপনাদের মত সুবিদাবাধিদের কাছ থেকে অবশ্যই নয়। যারা নিজ স্বার্থের বিনিময়ে বিকৃতি করার চেষ্টা করেন বাঙ্গালির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্দের ইতিহাস তারা আর যাই হোক ভাল ত নয়ই অভিশাপ ও ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠেন গোটা জাতির চোখে।

^উপরে যেতে ক্লিক করুন