- প্রকাশ করা হয়েছে শনিবার, 31 আগস্ট 2013 13:56
শিক্ষা
শিক্ষাই একটা জাতির উন্নয়নের পূর্বশর্ত- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই কথা শুধু বিশ্বাসই করেনা, বরং তার সকল কর্মকাণ্ডে, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মাঝে ধারণ করে। ক্ষমতায় আসার পরে সব শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ নজর দেয়। আর তার ফলেই আজ প্রায় দেশের প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যায়। শুধু এই দেশেরই নয়, বরং এই অঞ্চলের ইতিহাসে এমন সাফল্য বিরল
।
নীতি সংস্কার
আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া শিক্ষা খাতে কোনো গুণগত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর তাই ক্ষমতায় আসার পরই সরকার বেশ বড় পরিসরের এক উদ্যোগ হাতে নেয়- নতুন একটি শিক্ষানীতি প্রণয়নের। লক্ষ্য এমন একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা যা শুধু বিজ্ঞানসম্মতই নয় বরং একই সাথে সময়োপযোগী ও জীবনমুখী হবে। ব্যাপক গবেষণা, চুলচেরা বিশ্লেষণ, নানামুখী নিরীক্ষা শেষে ২০১০ সালে প্রণীত হয় জাতীয় শিক্ষানীতি। শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে যুগোপযোগী এই শিক্ষানীতি। সমাজের সর্বস্তরে আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এই নীতির মূল লক্ষ্য।
নারী শিক্ষা
বর্তমান শিক্ষানীতির প্রয়োগের ফলে বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যার সাথে সাথে নারী শিক্ষার হারও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিগত সরকারের তুলনায় এই সরকারের আমলে প্রায় ১১ ভাগ বেশি নারী লিখতে ও পড়তে শিখেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্নাতক পর্যায়ে ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে।
শিশু মননের পূর্ণ বিকাশ
এই সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ১১১টি পাঠ্যবইয়ের আধুনিকায়ন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ কার্যক্রম এবং ২৬১৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ। নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই সরকার বছর শুরুর প্রথম দিনেই সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৭ কোটি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছে যা এর আগে কোনো সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি। প্রতিযোগিতাপূর্ণ ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে আরো দু’টি পাবলিক পরীক্ষা চালু করেছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং সমমানের জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রবর্তন করা হয় নতুন এই শিক্ষানীতির আলোকে। অতিদরিদ্র শিশুদের স্কুলে আসতে উদ্বুদ্ধ করতে ২১০০টি স্কুলে শিক্ষার্থীদের শাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে আশা করা যাচ্ছে যে, আগামী দু-একবছরের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাক্ষরতার হার ১০০ ভাগে উন্নীত হবে।
এত সব সাফল্যের পরও আওয়ামী লীগ সরকার মনে করে এখনও করার আছে অনেক কিছু। দেশের শিক্ষা খাতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পাড়ি দিতে হবে এখনও অনেকটা পথ।