খাদ্যে স্বনির্ভরতা


ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন। আর আওয়ামী লীগ সরকার তার দুই মেয়াদেই এই দুরূহ কাজটি করে দেখিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে যে খালি পেটে উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর তাই দুই মেয়াদেই উৎপাদন বাড়িয়ে কৃষি খাতে অনেকটা নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

প্রতিকূলতাকে জয়
জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রকৃতির খামখেয়ালিকে জয় করে বর্তমান সরকারের চার বছরে খাদ্য উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে প্রায় ৩০ ভাগ। গত দু'বছরে কোনো চাল আমদানি করতে হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে খাধ্য ঘটতি ছিলো ৪০ লক্ষ টনেরও বেশি। এখন এ দেশের কৃষকের উৎপাদিত খাদ্য শস্য দিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতের জন্যে মজুদও করা সম্ভব হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুসংহত করতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার কৃষি ভর্তুকির ব্যবস্থা করেছে। এ সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে উত্তরবঙ্গের ভয়াল মঙ্গা এখন কেবলই ইতিহাস।
কৃষকবান্ধব পদক্ষেপ
কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ও কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই বীজ, সার ও কীটনাশক পেতে পারে, তা নিশ্চিত করেছে সরকার। কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করার জন্যে গত চার বছরে কৃষকদের মাঝে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা সহজ করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকা জমা দিয়ে এখন সহজেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন কৃষকরা। নূন্যতম সুদে প্রায় ১ কোটি কৃষকের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেছে বর্তমান সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের অক্লান্ত চেষ্টার ফলেই বাংলাদেশে ২০১১-১২ অর্থবছরে রেকর্ড ৩৩,৮৮৯,০০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
এই খাদ্য স্বনির্ভরতা ধরে রাখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ৮ বছর মেয়াদী (২০০৮-২০১৫) একটি কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ৭৭ লক্ষ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ভিজিএফ, জিআর, ওএমএস কার্ড। বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশের কৃষিবিদরা প্রায় ৫ শতাধিক উচ্চফলনশীল ধান, গম, বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং সবজির উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে যেগুলো বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশেও টিকতে পারে।
লক্ষ্যপূরণ
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। জাতিসংঘের বেঁধে দেয়া সময় ২০১৫ সাল হলেও বাংলাদেশ তার দু’বছর আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে ফেলে। এই অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছে।
এতোসব সাফল্যের পরও আওয়ামী লীগ সরকার মনে করে,এখনও অর্ধেকটা পথ বাকি; সামনে বাকি আরও অনেকটা পথ। উন্নয়নের কোনো সীমা নেই, প্রগতির নেই শেষ।
^উপরে যেতে ক্লিক করুন