হিজড়াদের ট্র্যাফিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

হিজড়াদের ট্র্যাফিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

ফারজানা ইয়াসমিন, ন্যাশনাল ডেস্ক
বিডি-জার্নাল.কম
 হিজড়াদের ট্র্যাফিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার

হিজড়াদের ট্র্যাফিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। হিজড়াদের পুনর্বাসন ও তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রয়াস হিসেবে আগামী অর্থবছরে থেকে তাদেরকে ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গতকাল, ১৯ মে ২০১৫ তারিখে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে, মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সোশাল সেফটিনেট (সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী) সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, এবং নারী প্রতিমন্ত্রী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।


সভায় আরো আলোচনা হয় যে, শুধুমাত্র লিঙ্গ পরিচয়েই নয়, নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে হিজড়াদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকেও আমলে নেওয়া হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ বিবরণ পরবর্তিতে সরকার কর্তৃক আরো বিশ্লেষণের পর সংশোধন করা হবে।

হিজড়া, যারা না পুরুষ, না মহিলা; এরা ২০১৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে একটি পৃথক লিঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এরপর থেকে তারা এবং শিক্ষা এবং অন্যান্য অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে শুরু করেছে।

২০১৩ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংগঠিত একটি জরিপ অনুযায়ী দেশে ১০,০০০ হিজড়া বসবাস করছে। হিজড়া কমিউনিটি বহুদিনের অভিযোগ যে তারা সব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং সমাজের দ্বারা একঘরে হয়ে আছেন।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, "প্রতি বছর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ভাতা বৃদ্ধি করা হয়; কিন্তু আগামী অর্থবছরে এই ভাতা কি পরিমান বৃদ্ধি করা যাবে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে, বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ বিশেষ করে অসমর্থ মানুষ, ভিক্ষুক ও দুস্থ মানুষের কল্যাণে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ আগামী অর্থবছরে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এবং এর মাধ্যমে শুধু পৃথক লিঙ্গ হিসাবে তাদেরকে নামেমাত্র স্বীকৃতি দেওয়াই নয়; বরং কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে সমাজে তাদেরকে মাথা উচু করে বেঁচে থাকার সুযোগও দিচ্ছেন।

^উপরে যেতে ক্লিক করুন