একজন মুক্তিযোদ্ধার কিছু সত্য উচ্চারণ, যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে

আজাদুল হক নামে একজন অসাধারণ একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ভিডিও সাক্ষাতকার ভিত্তিক অনুষ্ঠানটির নাম দিয়েছিলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের না বলা কথা’। প্রজেক্টটা তিনি শুরু করেছিলেন, সম্ভবত শেষ করতে পারেননি। প্রকল্পের প্রথম পর্বে তার অতিথি ছিলেন মার্কিন প্রবাসী চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কামরুল ইসলাম। সাক্ষাতকারটি শেষ হওয়ার আগেই মারা যান তিনি। এই সাক্ষাতকার চলার সময় অসুস্থ ছিলেন কামরুল। ছয় পর্বে এটি ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে যা শেয়ার করছি আজ।

এই সাক্ষাতকারে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিয়েছেন কামরুল। যুদ্ধ শুরুর সময়টায় সেক্টর কমান্ডার জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তিনি। সে সময় ছাত্রদের প্রতি সেনা সদস্যদের মনোভাব নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। রামগড়ে শহীদ সেনা কর্মকর্তা আফতাবের জানাজায় কোনো সেনাসদস্যের না থাকাটাও অবিশ্বাস্য লেগেছে। গুরুতর অভিযোগ জিয়ার দলের বিরুদ্ধে যেটি তাহলো বাড়বকুন্ডের হাফিজ জুট মিলে অবাঙালীদের হত্যা করে তাদের মেয়েদের ধরে এনে পাকিস্তানীদের কায়দায় আটকে রেখে ধর্ষণ! চতুর্থ পর্বে এ বিষয়ে বলার সময় কামরুল জানিয়েছেন রামগড় পতনের ঠিক আগে এদের নদীতীরে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেখানে তিন মাস বয়সী এক শিশু ছিলো যাকে বেয়নেটবিদ্ধ করে কবর দেয়ার সময় সে হাত দিয়ে চোখের ওপর থেকে মাটি সরিয়ে দিচ্ছিলো। বলেছেন স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিব বাহিনী ও সাকা চৌধুরী সম্পর্কেও। ছ’টি পর্বই লিংক করে দিচ্ছি।
^উপরে যেতে ক্লিক করুন