৭১-এর দলিল : বুদ্ধিজীবিদের নিধন চলেছিলো সারা বছর ধরেই


যুদ্ধশেষের দিন দুয়েক পরে রায়ের বাজারে আবিস্কৃত বধ্যভূমি নাড়া দিয়ে গিয়েছিলো বাঙালীকে। নৃশংস হত্যার শিকার সার সার লাশ। গোটা যুদ্ধকালে যে পরিমান বাঙালী মরেছে তার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা অংশ মাত্র, আনুপাতিক বিচারে দশমিকের পর শূন্য বসবে হয়তো। কিন্তু গুরুত্বের বিচারে আনলে একদম উল্টো। এনারা ছিলেন বুদ্ধিজীবি- ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, আইনজীবি, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী। মাত্র এক সপ্তাহের এক অ্যাকশনে স্বাধীনতার খুব কাছাকাছি পৌছে যাওয়া একটি দেশকে মেধাশুন্য করার পাকিস্তানী পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করেছিলো তাদের স্থানীয় দোসররা। নির্দিষ্ট করে বললে জামাতে ইসলামীর খুনে দল- আল বদর।

এনিয়ে লেখালেখি কম হয়নি এর আগে। আমার ব্লগেই রয়েছে প্রচুর উপাত্ত। আমি আজ শেয়ার করছি একটি অমূল্য দলিল। এটি পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের বরাতে পাঠানো একটি টেলিগ্রাম। সম্পূরক আরেকটি টেলিগ্রাম ছিলো যা খুজে পাচ্ছি না, হয়তো আছে কোথাও। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ পাঠানো এই টেলিগ্রামটিতে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী মার্চের শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবিদের গ্রেফতার ও হত্যায় নিয়োজিত ছিলো। সে মাসে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও এই নীতি তারা বদলায়নি, বরং আগের চেয়ে গোপনে চালাচ্ছিলো। এখানে আব্দুস সাত্তার নামে একজনের উল্লেখ আছে যাকে গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মার্কিনীদের এ ব্যাপারে নাক গলাতে নিষেধ করে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই।
321
^উপরে যেতে ক্লিক করুন