- প্রকাশ করা হয়েছে বুধবার, 28 জানুয়ারী 2015 16:53
২০১৪ সালের টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠনের পর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ২০০৯ এর ধারাবাহিকতা রক্ষা ও নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৪ এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর্মযজ্ঞ শুরু করে। এই বিপুল কর্মকাণ্ডের ফলাফল ও অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
অর্থনীতি
- অর্থনৈতিক গড় প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ১২০০ডলার যা গত বছর ছিল ১০৫৪ ডলার। বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি বাংলাদেশ।
- দারিদ্যের হার এখন ২৪ শতাংশের নীচে।
- দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের স্বল্পমূল্যে ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্বাস্থ্য, আবাসন ও যানবাহনের সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবীণদেরকে জ্যেষ্ঠ নাগরিকের (সিনিয়র সিটিজেন) স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
- বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২২.৩৯ বিলিয়ন ডলার (১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
- রাজস্ব আয় ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থ বছরে বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল।
- মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
- ২০১২-১৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর ২৪২টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৩৯টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। গত অর্থ বছরে এডিপি ব্যবহারের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১১ ভাগ। এ সময় ব্যয় হয় ৫৯ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।
- কর সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং ব্যবসাবান্ধব রাজস্ব নীতির কারণে গত ৫ বছরে রাজস্ব আদায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথমম বছর ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২ হাজার ৪২ কোটি টাকা। এই ধারাবাহিকতায় ৫ বছর পর অর্থাৎ চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম দশ (জুলাই-এপ্রিল) মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯০ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে এর পরিমাণ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা সূচকে গত বছরের চেয়ে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।২০১৩ সালে এই সূচকে ১১০তম স্থানে থাকলেও ২০১৪ তে এবার ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯-এ।
- মানব উন্নয়নে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটান আগের অবস্থানে থাকলেও এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন তালিকায় ১৪৩ থেকে ১৪২তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
- মোবাইল ব্যাংকিং এ বিপ্লব হয়েছে বাংলাদেশ।দেশেই দৈনিক লেনদেন আড়াই শ কোটি টাকা। গ্রাহক সংখ্যা এক কোটি ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪, প্রতিদিন বিদেশ থেকেও আসছে টাকা। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ ৭ ধরনের সেবা পাওয়া যাচ্ছে।দেশে প্রতিদিন মুঠোফোনে ২৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। লেনদেন হওয়া মোট টাকা দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
- মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম।
- বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস (আইপি) 'বিশ্ব শান্তি সূচক (জিপিআই)-২০১৪' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে মধ্যমানের শান্তি বিরাজ করছে। আর শান্তি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম।
- সার্ক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজিস) অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নির্মূল, দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা, স্বাস্থ্য খাত এবং দরিদ্র্যদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিতকরণ ও খাদ্য তালিকা সমৃদ্ধকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে দেশ।
- সামাজিক ও পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি এক সূচকে ৯৯তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই সূচকে আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের অবস্থা আরো পেছনের দিকে। স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, বাসস্থান, ব্যক্তিগত সুরক্ষা, তথ্যের সহজলভ্যতা, শিক্ষায় অধিকার ইত্যাদিসহ মোট ৫০টি বিষয়ের ভিত্তিতে এ সূচকটি তৈরি করে লন্ডনভিত্তিক সোশ্যাল প্রগ্রেস ইমপারেটিভ নামের একটি সংস্থা।
- নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সাল পর্যন্ত সৌর শক্তি খাতে বাংলাদেশ এক লক্ষ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। সোলার সিস্টেমের স্থাপন, বিপণন ও রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ ২০১৩ সাল পর্যন্ত এক লক্ষ ১৪ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২১ লক্ষ সোলার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, ২০০৩ সালে এই পরিমাণ ছিল ২৫ হাজারের কাছাকাছি।
- বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে আছে। লক্ষ্যগুলো অর্জনে ইতোমধ্যে নয়টি সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আরও ১০টি সূচকে অর্জন লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। এ সাফল্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে।
- তৃণমূল থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল, জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করা, সবোর্চ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ কার্যক্রমে অধিকতর সমন্বয়ের লক্ষ্যে শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার।
- সামাজিক সূচকে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য সংস্থা আঙ্কটাডের এলডিসি-২০১৪ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী স্বল্পোন্নত তথা এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়েছে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৪।
- দেশের শিক্ষার হার ৭০ শতাংশ।
- ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চার কোটি ৪৪ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পাবে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি বই। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুরাও পাবে ব্রেইল পদ্ধতির বই।
- ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে বিনা মূল্যে বিতরণকৃত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১২৪ কোটি।
- দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় মাধ্যমিকে ছাত্রী সংখ্যা সর্বাধিক বাংলাদেশে।
- এখন দেশে স্কুলমুখী শিশু শতভাগ। ২৭ লাখ শিশু স্কুল ফিডিং কর্মসূচীতে খাদ্য পাচ্ছে।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রী ভর্তি ও জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।
- প্রাথমিকে ৭৮ লাখ ৭০ হাজার একশ ২৯ জন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।উপবৃত্তির জন্য ২০১৪ সালের জন্য ব্যাচেলর পর্যায়ে এক লাখ ৭৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর তালিকা করা হয়েছে।
- অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও সুযোগ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। এমনকি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের শীর্ষ দশেও উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৪’-তে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। ২০১৪ সালের এ সূচকে বিশ্বের ১৪২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম।
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করেছে সরকার।
- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বারের মতো নারী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেদা একরাম।
- সরকার নারী উন্নয়ন নীতি ২০১৪ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন ২০১০ প্রণয়ন করেছে।
- বিভিন্ন সরকারি কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৪০ মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট তৈরি হচ্ছে।
- জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন ৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সংরক্ষিত নারী আসন এক-তৃতীয়াংশ করা হয়েছে। এসব আসনে সরাসরি নির্বাচন হওয়ায় নারীর ক্ষমতায়ন বহুগুণ বেড়েছে।
- বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও স্পিকার হচ্ছেন নারী। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও অন্য স্তরে নারীর শক্তিশালী অংশগ্রহণ রয়েছে।
- পাঁচ বছরের নিচে বিভিন্ন বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমে আসার ধারা অব্যাহত রয়েছে।নবজাতক থেকে বিভিন্ন বয়সের শিশু মৃত্যুর হার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০০৮ সালে ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুহার ছিল হাজারে ৫৪ জন যা ২০১৩ সালে হাজারে ৪১ জন। । ১ মাসের নিচে শিশু মৃত্যুহার ২০০৮ সালে ৩১ থেকে ধারাবাহিক ভাবে কমে ২০১২ সালে ২১ এ নেমে এসেছে। সেই সাথে ধারাবাহিক ভাবে মাতৃমৃত্যু হারও কমেছে।
- মানুষের আয়ুষ্কাল বেড়েছে। এখন মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে ৬৯ দশমিক ৪ বছরে উন্নীত হয়েছে। যা ২০০৮ সালে ছিলো ৬৬ দশমিক ৮ বছর এবং ২০১১ সালে ছিল ৬৯ বছর।
- সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে।
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বার্ষিক ১.৩৬ যা ২০১১ সালেও ছিল ১.৩৭।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার ৬২ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে; যা ২০০৮ সালে ছিল ৫২ দশমিক ৬ ও ২০১১ সালে ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
- বর্তমানে দেশের মানুষের পানি ব্যবহারের হার (ট্যাপ ও নলকূপ)৯৮ দশমিক ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের হার ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
- এই সরকার দেশের ইতিহাসে একদিনে একযোগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬ হাজার ১৫১ চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্যসেবায়।
- এই সরকারের আমলে দেশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন (বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট) সম্পন্ন করা হয়।
- প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ১২,৫৫৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৩,৮৮১ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রতিমাসে রোগে আক্রান্ত ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ প্রতি মাসে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সেবা ৩৩ আইটেমের প্রায় পাঁচশ' কোটি টাকার ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ২৭ কোটির বেশি মানুষ সেবা পেয়েছেন এবং ৬০ লাখ জরুরি ও জটিল রোগীকে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়েছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক। বর্তমানে তিন শতাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসূতি ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
- হার্টে ত্রুটিযুক্ত শিশুদের জন্য দেশেই বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে শিশু কার্ডিয়াক ল্যাব চালু করা হয়েছে।
- বর্তমানে ৮২ শতাংশ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা এক বিরাট সাফল্য। যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বাধিক।আমাদের এ কর্মসূচির সাফল্যের কারণে এমডিজি-৪ অর্জনে যে শিশু মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যও অর্জিত হয়েছে।
- পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছে।
- নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিতে অভাবনীয় উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। এ খাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের তুলনায় বাংলাদেশের অর্জন ভালো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) এবং ইউনিসেফের যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন (জেএমপি)-২০১৪ এ তথ্য দিয়েছে।
- খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দেশে ১১ লাখ ৩২ হাজার ২০২ টন চাল এবং দুই লাখ ২৬ হাজার ৭১৩ টন গমের মজুদ রয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিন লাখ টন বেশি। বর্তমানে উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মেট্রিকটন। সরকার গত মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চাল উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন মেট্রিকটনে। ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ উভয় অর্থবছরে ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিকটনের বেশি চাল উৎপাদন হয়, যা ছিল দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।
- 'কার্তিকের মঙ্গা' বাংলাদেশে এখন অতীত।২০১৪ সালে দেশে তিন কোটি ৬৮ লাখ টন খাদ্যশষ্য উৎপাদন হয়।
- এখন ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ দেশের মানুষকে খাওয়ানোর জন্য এক ছটাক চালও আমদানি করেনি। হেক্টরপ্রতি ধান, গম ও ভুট্টার বৈশ্বিক গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
- বিশ্বে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় তিন টন, আর বাংলাদেশে তা ৪ দশমিক ১৫ টন। ভুট্টার হেক্টরপ্রতি উৎপাদনে বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ১২ টন, বাংলাদেশে তা ৬ দশমিক ৯৮ টন।
- ৮৫ লাখ টন আলু উৎপাদন করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় উঠেছে।
- মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চতুর্থ। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে আলুর।
- একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের জন্য উদাহরণ।
- বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। মাত্র এক বছরেই এ সূচকে ১১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।গত পাঁচ বছরে দেশে ধান ও গমের উৎপাদন গড়ে ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ শতাংশ হারে বেড়েছে।
- সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দিতে চালু হয়েছে কৃষি কল সেন্টার। কৃষি বিষয়ক সকল পরামর্শ সেবা দিচ্ছে এই ‘কল সেন্টার। এই কল সেন্টারের নম্বর হচ্ছে ১৬১২৩।
- উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশ-সহায়ক ধানের জাত উদ্ভাবনেও বাংলাদেশ এগিয়ে। ব্রি এ পর্যন্ত ৬৭টি এবং বিনা ১৪টি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাত উচ্চফলনশীল (উফশী)।বিশ্বে প্রথম জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকরা। ব্রি ও বিনার উদ্ভাবিত ১৩টি জাতের মধ্যে পরিবেশসহিষ্ণু বৈশিষ্ট্য আছে। এগুলোর নয়টি লবণসহিষ্ণু, দুটি খরাসহিষ্ণু ও চারটি বন্যাসহিষ্ণু।
- ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় ৮১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে এক হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। চলতি বাজেটে কৃষি খাতে ১২ হাজার ২৮৮ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
- সরকার সার বিতরণ ব্যবস্থাপনার পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার করে। প্রায় ৩৪ হাজার খুচরা সার বিক্রেতা ও ইউনিয়ন প্রতি সার ডিলার নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।সারে ভর্তুকি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিজেল ও বিদ্যুত এবং যান্ত্রিকীকরণেও ভর্তুকি প্রদান করা হয়। সার বীজ, সেচ ও কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা হয়। কৃষকদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেয়া হয়।বছরে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ দেয়া হচ্ছে।
- জাতীয় কৃষি নীতির আলোকে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৪’ এবং ‘জাতীয় ক্ষুদ্রসেচ নীতি ২০১৪’ প্রণয়নের কাজ চলছে।
- ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সর্বমোট ১২৮টি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এ সকল কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে ৩০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
- দেশের মানুষের আয় ও সামাজিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশি কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী। এ কর্মসূচীর কারণেই উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সরাসরি উপকারভোগীদের মাথাপিছু আয় ১৪ দশমিক ৫ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর উপকারভোগী নারীদের আর্থিক সক্ষমতার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। অভাবগ্রস্ত দরিদ্রশিশুদের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়েছে।
- ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩০০ গ্রামের ১০ লাখ ৩৮ হাজার পরিবারকে প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। এক হাজার ৩৩২ কোটি টাকার তহবিল সৃষ্টি ও ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৬ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে কৃষি ও অকৃষি জীবিকায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।
- ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৩ গুচ্ছগ্রামে ১ হাজার ৬৯২ পরিবারকে পুনর্বাসনে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৩১৪ লাখ টাকা।
- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬শ’ থেকে বৃদ্ধি করে ৪ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার জনপ্রতি মাসিক হার ৩৫০ টাকা থেকে ৫শ’ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
- ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা এবং স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ঠিক রেখে জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
- সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৫১৫ জন নিবাসীকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসাসহ ভরণপোষণ বাবদ জনপ্রতি মাসিক ২ হাজার ৬শ’ টাকা এবং নিবন্ধিত বেসরকারি এতিমখানার ৬২ হাজার নিবাসীকে লালন-পালন বাবদ জনপ্রতি মাসিক ১ হাজার টাকা ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান করা হচ্ছে।
- বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নির্বাচনের আগে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার যশোর, সাতক্ষীরা, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার বহু হিন্দু পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয়, বাড়ি ও দোকানপাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাৎক্ষণিক নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত নতুন করে গড়ে দেয় বিজিবি।
- দেশের ৬৪ জেলার ৬৬ উপজেলায় 'সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি' প্রকল্পের আওতায় চার হাজার ২৭৫টি গ্রামে গ্রাম সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
- 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩', 'নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন, ২০১৩' এবং 'নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট' গঠন করা হয়েছে।
- জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দেশব্যাপী প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলায় ৭৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র এবং একটি করে অটিজম কর্নার চালু রয়েছে। এ কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
- নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, হিজড়া, দলিত, বেদে ও হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের সামাজিক নিরাপত্তা দিতে দুটি নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীকে 'তৃতীয় লিঙ্গ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
- বর্তমান সরকার ৬২ হাজার আরবান ভলেন্টিয়ার্স করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই ২৬ হাজার ৩শ’ ১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
- বর্তমান সরকার ইতোমধ্যেই ৬৪ কোটি টাকা মূল্যের তল্লাশী ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করেছে। এই যন্ত্রপাতি সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স ও সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া হয়েছে। সরকার আরো ১৫৯ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার পরিকল্পনা করেছে।
- প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬১৯ জনকে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ১ হাজার ৭৯৯ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
- ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ লক্ষ্যে ৮১ হাজার ৫১৪ হেক্টর ব্লক বাগান, ১৪ হাজার ৭০৮ কিলোমিটার স্ট্রীপ বাগান, ৭ কোটি ১৮ লাখ চারা উত্তোলন করে মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
- সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের অর্থায়নে প্রায় ১৫৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ওই ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় ৭ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ও চর এলাকায় ব্যাপক বনায়ন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের অর্থায়নে এ পর্যন্ত ১শ’ ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ চারা রোপণ করা হয়েছে এবং ৪ হাজার ৯৭১ হেক্টর জমি বনায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
- দেশে প্রথমবারের মত সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি বাঙালি’র উদ্বোধন করা হয়। আগামী জুনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)’র নৌযান বহরে আরো একটি জাহাজ ‘এমভি মধুমতি’ যুক্ত হবে।
- সরকার ৯টি ফেরী ও ৭টি পন্টুন নির্মাণ করেছে। চলতি বছরে আরও ৬টি ফেরী ও ১টি পন্টুন এবং ২০১৫ সালের মধ্যে আরও ২টি ফেরীর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।বিআইডব্লিউটিসি’র কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির ফেরি ও যাত্রীবাহী জাহাজে যানবাহন ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস) স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে জলযান মনিটরিং সহজ হয়েছে। যাত্রাপথ নিরাপদ হয়েছে। সেবার মানও বেড়েছে।
- ঢাকাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে এবং ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান রয়েছে।
- ঢাকা শহরের তীব্র যানজট নিরসনকল্পে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ওঠা-নামার জন্য ৩১টি র্যাম্পসহ মোট ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম তিনটি ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রথম ধাপ- হযরত শাহজালাল (রহ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ- বনানী হতে মগবাজার পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং তৃতীয় ধাপ- মগবাজার হতে কুতুবখালী, চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
- আধুনিকায়নের ফলে মংলা বন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
- ২০০৯ সালের পর থেকে ৬টি ওয়াটারবাস, দ্বীপাঞ্চলের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্য ৪টি সী-ট্রাক, ২টি ঘাট পন্টুন এবং ২টি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী জাহাজসহ সর্বমোট ৩০টি জলযান নির্মাণ করেছে।
- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনকে ডাবল লাইন করা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ কাজ চলছে।
- ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সকল প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষে নিজস্ব অর্থায়নে তা বাস্তবায়ন কাজ চলছে। সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ২ হাজার ৪০৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেতু বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে।
- অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
- সরকার ৩২টি বেসরকারী স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। ১২টি এফএম ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও স্টেশনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। যাতে স্থানীয় জনগণ বাজারদর, আবহাওয়া ও সামাজিক কর্মকান্ড ইত্যাদি সহজে জানতে পারে। দেশে বর্তমানে সরকারি খাতে একটিসহ মোট ১৪টি কমিউনিটি রেডিও চালু রয়েছে।
- তথ্য মন্ত্রণালয় অসুস্থ, অস্বচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে সাহায্য, সহযোগিতা ও পুনর্বাসনে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা বা অনুদান নীতিমালা, ২০১২-এর আওতায় বিগত ২ অর্থবছরে ১ কোটি ৫০ লাখ এবং বর্তমান অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
- সরকার বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৪ এর ৩(১) উপ-ধারার বিধান মতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করেছে।
- চলতি বছরের ২৬ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৭ জনের সম্মিলিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয়া একটি বিশাল সাফল্য ও বিরল সম্মান।
- সদ্যসমাপ্ত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি।
- এক বছরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে ১৮৯ জন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
- ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট ব্যয় সূচকে (বিজনেস অ্যাট্রাক্টিভনেস) সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ হলো বাংলাদেশ। গ্গ্নোবাল সার্ভিস লোকেশন ইনডেস্কে ৫০টি দেশের মধ্যে ২৬তম অবস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মূলত তথ্যপ্রযুক্তিতে আউটসোর্সিং, ব্যাক অফিস বা অফশোরিং, বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (বিপিও), ভয়েস সার্ভিসসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অগ্রগতির সাফল্য হিসেবে প্রথমবারের মতো এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
- ২০১২-১৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষি ও খাদ্য উত্পাদন বেড়েছে।
- যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক পিউ রিসার্স সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাণিজ্য উদারীকরণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
- বাণিজ্যে বাংলাদেশের আস্থা সূচক বেড়েছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসির এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় পাঁচ হাজার আমদানি-রপ্তানিকারকের ওপর তৈরি করা ওই জরিপ অনুযায়ী, ২৩টি দেশের মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু মিসর। আস্থার দিক দিয়ে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিযোগী দেশগুলোকে।
- ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ। পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ডলার। দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআইয়ের প্রবৃদ্ধি কমে আসার প্রবণতার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়ে এ অঞ্চলের মধ্যে হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
- দেশের ৬৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন।৬ বছরে বেড়েছে ৫ হাজার ৩ শ’ ৯৯ মেগাওয়াট
- নতুন গ্রাহক হয়েছে ৩৪ লাখ এবং সঞ্চালন লাইন ১ হাজার ৩ শ’ ৩১ কিলোমিটার
- ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনর করা হয়েছে।
- উৎপাদন সক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াট। গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ সাত হাজার ৪১৮ মেগাওয়াট উৎপাদন হয়।
- ২০০৮ সালে ৫৩ শতাংশ বাতি জ্বালাতে বিদ্যুত্ ব্যবহার হলেও ২০১২ সালে এ হার ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
- বর্তমান সরকারের প্রায় ৬ বছরে গৃহিত কার্যক্রমের ফলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে গ্যাসের গড় উৎপাদন দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাস উৎপাদন গড়ে দৈনিক ২ হাজার ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
- দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাস ফিল্ডের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৭ দশমিক ০৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। ফলে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট নীট মজুদের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
- ২০০৯ সালের শুরু থেকে অদ্যাবধি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনসহ সর্বমোট ৮৪টি নতুন ট্রেন বিভিন্ন রুটে চালু করা হয়েছে এবং ২৪টি ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত করা হয়েছে।
- রেলওয়ে সেবা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে যাত্রী সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ সেট ডেমু সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ডেমু দ্বারা দেশের বিভিন্ন রুটে কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছে।
- এছাড়াও ৭টি কম্পোনেন্টের মাধ্যমে রেলওয়ের সকল কার্যাদি কম্পিউটারাইজড করার কাজ বর্তমানে চলছে।
- ময়মনসিংহ-চট্ট্রগ্রাম সরাসরি রেল সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
- বিশ্বের ১৬০টি দেশে প্রায় ৯০ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন, যা থেকে প্রবাসী আয়ের হার বছরে প্রায় ৬১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
- ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৩ জন বাংলাদেশি কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৪ হাজার ২১৩ জন নারী কর্মী।
- ২০১৩ সালে নতুন ১২টি শ্রম উইং খোলা হয়েছে। বর্তমানে মোট উইংয়ের সংখ্যা ২৮টি।
- বর্তমানে বছরে প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহের হার ৬১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেশি ।
- গত ফেব্রুয়ারি থেকে সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা আকামা বদল ও পেশা পরিবর্তনের সুয়োগ পাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশিদের দীর্ঘ দিনের একটি সমস্যার সমাধান হলো।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। ৪,৫৪৭ টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র।৩২১ টি পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টার, ৪০৭ টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন। এসব সেন্টারে প্রায় ১১ হাজার জন উদ্যোক্তা কাজ করছে। তাদের মাসিক গড় আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং মোট আয় হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। এসব কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে ৬০ পদের সেবার মাধ্যমে ১২ কোটির মতো সেবা প্রদান করা হয়েছে। ১ লাখে যুবক যুবতীকে কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়া হয়েছে।
- ডিজিটাল সেবার ফলে ৭ কোটি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সম্ভব হয়েছে। ৪ কোটি ৮৪ লাখ ইন্টারনেট সংযোগ। ভিডিও কল করে কথা বলতে থ্রি-জি চালু করা হয়েছে।
- দেশের এখন ১১ কোটি ৮৪ লাখ মোবাইল গ্রাহক।
- ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম পোর্টাল “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” চালু কার হয়েছে। জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সমূহ ডিজিটাইজ করা সহবিভিন্ন সরকারী অফিসে ই-অফিস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
- ৫ বছর আগে এ খাতে বাংলাদেশের আয় ছিল মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলার। এখন সেটি ১২৫ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, অর্থাৎ ৫ গুণ বেড়েছে।
- দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যার তুলনায় মুঠোফোন গ্রাহকের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারত। মুঠোফোন গবেষণা ও উন্নয়নভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মোবিফোর্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ কোটি মুঠোফোন ব্যবহারকারী ক্লাবের ১৪টি দেশের মধ্যে এবারই প্রথম বাংলাদেশের নাম যুক্ত হয়েছে।
- দেশের জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই মুঠোফোনের গ্রাহক। বড় মুঠোফোন ও টেলিকম-সুবিধা রয়েছে, এমন দেশগুলোর বড় বাজারেরও একটি বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
- একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
- মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত আরো দৃঢ় হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ঘৃণ্য অপরাধীদের মাফ করে দেয়ার সংস্কৃতির অবসান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সুবিচার পাওয়া নিশ্চিতকরণ এবং জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ন্যুরেমবার্গ ও টোকিও ট্রাইব্যুনাল অথবা সাম্প্রতিক সময়ের প্রাক্তন যুগোশ্লাভিয়া, রুয়ান্ডা বা কম্বোডিয়ার ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের সুযোগ দেয়া হয়নি।
- দেশে জঙ্গিবাদ শক্তহাতে দমন করা হয়েছে।
- মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতী-নাতনিদের জন্য সরকারী চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
- ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে ইসলাম’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীর সিলেবাসে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ যুক্ত করেছি। ৭ হাজার ইমামকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।৭৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পে ৪০ হাজার আলেম-ওলামার কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের ৪০ লাখ শিশুকে মসজিদমুখী করা হয়েছে এবং প্রাক-প্রাথমিক স্তরে তারা শিক্ষা লাভ করছে।
- সরকার আরবী-বাংলা-ইংরেজি অনুবাদ ও উচ্চারণসহ পবিত্র আল কোরআন এর ডিজিটাল ভার্সন চালু করেছে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে।মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ১ হাজার মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন তৈরি করেছে। ৮০টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করেছে। প্রথমবারের মতো ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষা সমাপনীতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কর্মসূচি চালু করেছে। এ বছর ইবতেদায়ী উত্তীর্ণ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়েছে।
- সফলভাবে হজ্ব পালনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।সরকারি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবস্থাপনার সদস্যসহ আগত সর্বমোট হজ্জযাত্রী ৯৮,৬০৫ জন।
- সশস্ত্র বাহিনীর ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক এমবিটি-২০০০,ষেলফপ্রোপেলড গান, রাডার,সেনাবাহিনীর জন্য এপিসি এবং সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য আধুনিক হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে।
- নৌবাহিনীর জন্য সাবমেরিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০১৬ সালেই এই সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
- নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় হেলিকপ্টার, মেরিন পেট্রোল এয়ারক্রাফট, মর্ডাল ফ্রিগেট ও জাহাজ কেনা হয়েছে।
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ।
- বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীতে ১ হাজার ৪২৫ জন নারী কর্মকর্তা চাকরিরত রয়েছেন।
- দেশের প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক, ফ্লাইট ল্যাফটেন্যান্ট নাইমা হক এবং ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুতফি বর্তমান সরকারের আমলে বৈমানিক হয়েছেন।
- তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে ‘পাবলিক সেক্টর এক্সিলেন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেল বাংলাদেশ।
- তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান পরিবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০১৪’ পেয়েছে এক্সসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প।
- আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) কাউন্সিল সদস্য পদে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ।
- জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করেছে ‘দ্য ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসোসিয়েশন-ইউএসএ’ এবং ‘বেটার ওয়ার্ল্ড ক্যাম্পেইন’ নামে দুটি সংগঠন। গত ২১ ২০১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে এক অনুষ্ঠানে শান্তিরক্ষীদের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে’ উপলক্ষে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
- জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ‘ভিশনারি’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপোর (জিএসএসডি এক্সপো) সমাপনী উৎসবে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।, ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়া এবং শিক্ষার প্রসারে বৈপ্লবিক ধ্যান-ধারণার সমন্বয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
- ভোটে জিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) সদস্য হলো বাংলাদেশ।
- শেখ হাসিনা সরকারের শিশু ও মহিলাদের উন্নয়নে জাতিসংঘের স্বীকৃতি : বাংলাদেশ ইউনিসেফ এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত। বাংলাদেশ আগামী তিন বছরের (২০১৫-২০১৭) জন্য জাতিসংঘের ইউনিসেফ এক্সিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সকলের সম্মতিতে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়।
- বাংলাদেশ ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর লন্ডনে ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশন’ (আইএমএসও) এর মহাপরিচালক নির্বাচিত হয়।
- ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় আইপিইউ‘র ১৩১১৩১তম সাধারণ অধিবেশনে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
- ২০১৪ সালের ০৯ অক্টোবর ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দেতে নির্বাচনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন।
- বাংলাদেশ ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে ‘গ্লোবাল ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টে’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত।
- ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।
- ২০১৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ “নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণসংক্রান্ত” জাতিসংঘ কমিটির (সিডো) সদস্য নির্বাচিত।
- ২০১৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাউথ কো-অপারেশন ব্যুরোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
- ২০১৪ সালের মার্চে মাসে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সিং-এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।
- নারী ও কন্যা শিশুদের সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তির বৃক্ষ’ (ট্রি অব পিস) স্মারক উপহার দিয়েছে ইউনেস্কো।