- প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার, 12 জানুয়ারী 2015 18:00
২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পরে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়টি প্রকল্পকে প্রথম সারির অগ্রাধিকারের পরিকল্পনা নেন, যার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক সার্বিক অবস্থাকে ঢেলে সাজানো, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং জিডিপি’র প্রবৃদ্ধিকে বেগবান করা।
জাতির প্রগতিকে ইতিবাচকভাবে ত্বরাণ্বিত করতে,এই ছয়টি উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যেখানে
১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ ধরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ফাস্ট
ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির অধীনে রাখা হয়েছে।
এই
প্রকল্পগুলো বেগবান করার লক্ষ্যেই এই কমিটিটি গঠন করা হয়েছে যার কাজ
হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের পথের সমস্ত বাধাবিপত্তি দূরীভূত করা,যাতে প্রকল্পগুলো যথাদ্রুতসম্ভব বাস্তবায়িত হতে পারে।
প্রকল্পগুলো হলো: পদ্মা সেতু,সোনাদিয়াতে গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকাতে মেট্রোরেল, রামপালে একটি বৃহদাকার কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র,রূপপুরে একটি নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং মহেশখালীতে একটি তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল।
নিরবচ্ছিন্ন তদারকীর ফলে বেশ আশা জাগানিয়া কিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে,কমিটির তৎপরতায় দেশবাসী বিগত ২০১৪ সালেই এই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়েনর পথে বেশ কিছু সাফল্যজনক পদক্ষেপ প্রত্যক্ষ করেছে।
কমিটির পূর্ণোদ্যম ধারাবাহিক অর্জনে অনুপ্রাণিত হয়ে এই বছরে তারা আরো দুটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
১২০০
মেগাওয়াট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মাতারবাড়িতে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের
একটি কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার অর্থায়ন গত বছরের মাঝামাঝিতে
জাপানের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছে,কমিটির ৭ম অগ্রাধিকারেআছে।পটুয়াখালীর পায়রাতে গভীর সমুদ্র বন্দরটিকে কমিটির ৮ম অগ্রাধিকারে নেয়া হয়েছে।
এই
রিপোর্টে আমরা আলোকপাত করবো কমিটির গত এক বছরে এই প্রকল্পগুলো
বাস্তবায়নের পথে কী কী উন্নয়ন এবং অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে। সেই সাথে
নতুনভাবে সংযুক্ত দুটো প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল পদ্মা সেতুর জন্য নদীর বিভিন্ন স্থানে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে।সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই পার মিলে একটি সেনানিবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।তাছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে।ইতোমধ্যেই প্রকল্পের জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি গত অক্টোবর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, অবকাঠামো নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মাওয়া সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদীশাসনের কাজের জন্য চীনা কোম্পানি সিনোহাইড্রোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার।চুক্তি অনুযায়ী ৮ হাজার ৭০৭ কোটি টাকায় চীনা কোম্পানি সিনোহাইড্রো এ কাজ করবে।
২০১৩ সালে নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেতুটি নির্মাণ ও নদী শাসনে এ বছরই দুটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার।১২ হাজার ১৩২ কোটি টাকায় সেতুর মূল কাঠামো এবং নদী শাসনে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
জয়েন্ট ভেঞ্চার অফ কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন বাংলাদেশের দীর্ঘতম এই সেতুর নির্মাণ কাজ তদারক করবে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে প্রকল্প এলাকায়।২০১৮ সালের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, “ইতিমধ্যে প্রকল্পের শতকরা ১৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।আগামী বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের শতকরা ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হবে বলে আশা করি।”।
মেট্রোরেল
গত এপ্রিলে ভূমি অধিগ্রহণ বিশেষ বিধান রেখে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় (মেট্রোরেল আইন ২০১৪) মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
আইনটি অনুমোদনের পাঁচ মাসের মাথায় সেপ্টেম্বরে মেট্রোরেলের ‘এলাইনমেন্ট’ ও ১৬টি স্টেশনের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।আগামী জুলাই মাসে প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নকশা চূড়ান্ত হবে।
জাতীয় সংসদের ২০১৫ সালের প্রথম অধিবেশনেই পাস হচ্ছে বহুল আলোচিত মেট্রোরেল বিল-২০১৪।চলতি বছর সংসদের শেষ অধিবেশনে বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।সম্প্রতি কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে বিলটির ওপর আলোচনা শেষে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল স্থাপনে ৬টি প্যাকেজে নতুন বছরে পর্যায়ক্রমে মোট ৮টি দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, বছরের শুরুতেই দরপত্র আহ্বানের কাজ শুরু হবে।দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরপরই মেট্রোরেল স্থাপনে কাজ শুরু হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই দেবে জাইকা।বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।
মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১ ও মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়।
রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প
রামপাল-১৩২০ মেগাওয়াট প্রকল্পের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০১৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যে।এ লক্ষ্যে কাজ করছে ভারত ও বাংলাদেশ।রামপাল প্রকল্পের দ্রুত শেষ করতে প্রকল্পটিকে ফাস্টট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারত এবং বাংলাদেশ প্রকল্পটিতে ৩০ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ করবে।বাকি ৭০ ভাগ অর্থ ঋণ নেয়া হবে।ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।সম্প্রতি কোম্পানির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ বিষয়ে বিদ্যুত সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, আমার আগামী ছয় মাসের মধ্যে কয়লা পরামর্শক নিয়োগ দেব।এরপর কোন দেশ থেকে কয়লা পাওয়া যাবে তা নির্ধারণ করা হবে।তবে পৃথিবীর তিনটি দেশ থেকে বেশিরভাগ দেশ কয়লা নিয়ে থাকে।সম্প্রতি ভারতের বিদ্যুত সচিব পিকে সিনহা রামপাল প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে।
সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি দক্ষ এবং কম পরিবেশ দূষণকারী।অনেক দেশেরই সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি নেই।যা ব্যবহার করা হবে রামপালে।বাংলাদেশের জন্য সুখের বিষয়টি হচ্ছে ভারত ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করলেও কোন বিদ্যুত নেবে না।রামপাল থেকে পুরো বিদ্যুতই পাবে বাংলাদেশ।
এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প
সরকারের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম মহেশখালিতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প।তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির জন্যই এ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির জন্য টার্মিনালটি নির্মাণ করা হচ্ছে।টার্মিনালটি চালুর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৬ এর জুলাই মাসে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে
রূপপুর
নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র: ২০০০ মেগাওয়াটের এই নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের নির্মাণ প্রক্রিয়া তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়টি
সম্পন্ন হয়েছে। কার্যসূচী অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়টি কার্যাধীন রয়েছে, কিছু
কিছু ক্ষেত্রে তা কার্যসূচী থেকেও এগিয়ে আছে। রাশিয়ার
রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানী রোসাটম রূপপুরে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে কাজ
শুরু করেছে এবং এখন তারা সেখানে অর্ধ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে
কারিগরী সম্ভাব্যতা যাচাই নিরীক্ষা চালাচ্ছে। রোসাটমেরই অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান
অ্যাটমএনার্গোপ্রয়েক্ট এই নিরীক্ষাটি চালাচ্ছে, তারা সম্প্রতি প্রকৌশল জরিপ, পরিবেশ
তত্ত্বাবধান ও রূপপুর প্রকল্প সাইটকে নথিভুক্তকরণের জন্য একটি টেন্ডারও
ছেড়েছে। ১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাজটি এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ সমাপ্ত
হবে, তারপরই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের প্রথমেই শুরু হবে এবং শেষ
করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে ২০২০ সালে, যাতে পরের বছর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা সম্ভব হয়।
গভীর সমুদ্রবন্দর
কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে ডেনমার্ক।
যে
কোন সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেই তাদের
প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে এবং প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন
করবে।এখন
পর্যন্ত ডেনমার্ক ছাড়া যেসব দেশ কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর
সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বড় ধরনের বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে এগুলো হলো
যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি।
মাতারবাড়ী বিদ্যুত কেন্দ্র
কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।এর মধ্যে সরকারী তহবিলের ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৬ লাখ, জাইকার অর্থায়ন ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি ৩ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
প্রকল্পের প্রধান উপাদান ২টি ইউনিটে ৬শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি স্টিম টারবাইন,সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার ২টি স্টেক, আবাসিক এবং সামাজিক এলাকা গঠন, পানি শোধন ব্যবস্থা, সাব-স্টেশন, গভীর সমুদ্রে জেটি (বন্দর) কয়লা সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা, এ্যাশ ডিসপোজাল এরিয়া এবং বাফার জোন নির্মাণ করা হবে।বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুত বিভাগের উদ্যোগে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএস) কক্সবাজার
জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০২৩
মেয়াদে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যমানের এ উন্নয়ন প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করবে।
পায়রাতে তৃতীয় সমুদ্রবন্দর:
ডিসেম্বর ২০১৪ এর শেষ সপ্তাহে, সরকার
নিজস্ব অর্থায়নে কুয়াকাটার পায়রায় পরিকল্পিত তৃতীয় সমুদ্র বন্দরটির
সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেয়। ডিসেম্বরে লন্ডনভিত্তিক
ফার্ম ওয়ালিংফোর্ড প্রস্তাবিত এই সমুদ্রবন্দরের কারিগরী সম্ভাব্যতা যাচাই
পরীক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে। নভেম্বর ২০১৪তে কাজ শুরু হওয়া
বন্দরটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারীতার অধীনে নির্মিত হবে। নতুন বন্দরের
প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুবিধাদির উন্নয়নের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
একটি ১০৯.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই
প্রকল্পের অধীনে বন্দরের জন্য ৬০০০ একরের ভূমি অধিগৃহীত হবে, একটি পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হবে, প্রয়োজনীয়
জাহাজ এবং জরীপের জন্য প্রয়োজনীয় নৌযান কেনা হবে এবং প্রকল্পের চলাচলের
সুবিধার্থে পটুয়াখালী-কুয়াকাটার জন্য একটি ৫.৬ কিমি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক
নির্মিত হবে। প্রয়োজনীয় কার্যাদি সমাপ্তির মাধ্যমে বন্দরটির কার্যক্রম
২০১৭ সালে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Photo Credit: The Daily Star