প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে ল্যাপটপ সম্পর্কে ল্যাপটপ কেনার পূর্বে, যা না
জানলেই নয়, পোস্টটিতে জানিয়েছিলাম । আজ আপনাদের সাথে বাকি বিষয় গুলো নিয়ে
আলোচনা করব ।
১ । কী-বোর্ড (Key-board) : কী বোর্ডটা আরামদায়ক হওয়া জরুরী । কিছু কিছু
ল্যাপটপের কি বোর্ড, বাউন্স বা টাইপের সময় শব্দ করে । এই ধরণের কী বোর্ডের
আওয়াজে অনেকের সমস্যা হয়ে থাকে । আপনি যদি প্রায় সময় ল্যাপটপে কাজ করেন
তাহলে ল্যাপটপের সাথে একটি পোর্টেবল কী বোর্ড ব্যবহার করতে ভুলবেন না ।
কারণ আপনার পোর্টেবল কী বোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে তা সহজে পরিবর্তন করতে পারবেন ।
কিন্ত ল্যাপটপের কী বোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করা খুব ঝামেলা এবং
ব্যয়বহুল সাপেক্ষ বিষয় । আর আপনি যদি রাত জেগে (বা কম আলোতে ) কাজ করেন
তাহলে LED – বেকলিট কী-বোর্ড ব্যাবহার করতে পারেন যেটি অন্ধকারের মধ্যেও
কী-বোর্ডের বাটন গুলো দেখতে সাহায্য করবে।
৭। প্রসেসর (Processor): ল্যাপটপ কেনার সময় প্রসেসরের ঘূর্ণায়মান গতি বা
ক্লক স্পীড (Clock Speed) রেট দেখে কিনবেন । কারন আপনার ল্যাপটপের
ঘূর্ণায়মান গতি বা ক্লক স্পীড (Clock Speed) যত বেশি হবে আপনি তত দ্রুত
একসাথে অনেক গুলো কাজ করতে পারবেন । আপনি ৪ (4 GHz) সিঙ্গাল কোর প্রসেসর না
কিনার চেয়ে ২ (2 GHz) ডুয়েল কোর কিনার চেষ্টা করবেন, কারণ বর্তমানে
সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলো দুটি কোর (Duel Core) চালনা করতে পারে
এই ধরণের সফটওয়্যার উন্নয়ন (Software Develop) করছে ।
৮। ইউ.এস.বি পোর্ট (USB Port) : যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে সবাই ইউ এস বি
পোর্টের সাথে পরিচিত । কিন্ত এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার
ল্যাপটপের ইউ এস বি যেন USB 3.0 হয় যার ডাটা রেট আগের ইউ এস বি’র তুলানাই
১০ গুন বেশি ।
৯। নিরাপত্তা
ব্যবস্থা (Security) ঃ বর্তমান সময়ের ল্যাপটপের জন্য একটি অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । যেহেতু এটি খুব সহজে বহন করা যায়, তাই এটির ঝুঁকির
পরিমাণও অনেক বেশি । বর্তমানে কিছু কিছু ল্যাপটপের সাথে বিল্ড ইন ফিঙ্গার
(Built-in Finger) প্রিন্ট স্ক্যানার আছে, যা আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট
স্ক্যান ছাড়া চালু হবে না । আপনি যদি ল্যাপটপ দিয়ে খুব গুরুত্তপূর্ণ কাজ
করে থাকেন, তাহলে এই ধরনের একটি ল্যাপটপ কিনতে পারেন ।
১০। সব শেষে যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার কি সত্যি নতুন
ল্যাপটপ প্রয়োজন নাকি এখন আপনার কাছে যে ল্যাপটপ আছে তা আপগ্রেড করলে চলবে।
আপনি বর্তমানে যে ল্যাপটপ ব্যাবহার করেন তা আপনি আপনার মত করে ব্যাবহার
করতে পারেন । নতুন একটা কিনলে হয়ত তা আপনার কাজের উপযোগী করতে সময় লাগতে
পারে । পাশাপাশি আরও একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ল্যাপটপ
বাজারে আসছে । কিছু দিন পর পর নতুন নতুন ল্যাপটপ কেনা হয়ত বা আপনার পক্ষে
সম্ভব না। তাই যদি সম্ভব হয় আপানর বর্তমান ল্যাপটপটির সিস্টেম আপগ্রেড করে
নিতে পারেন ।