এই গরমে শিশুর যত্ন



শিশু মাত্রই তার যত্নের প্রয়োজন। তা হোক শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা কাল। প্রকৃতিতে এখন প্রচণ্ড গরম। যখন তখন বৃষ্টি আর ভ্যাপসা গরমে বড়দেরই অবস্থা যখন শোচনীয় তখন ছোটদের অবস্থা কল্পনা করাই দায়। এই গরমে প্রত্যেকটি শিশুর চাই বাড়তি যত্ন। নইলে যে কোনও সময় আপনার আদরের সোনামণি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। শিশুদের যত্নআত্তি নিয়ে এবারের আয়োজন:


প্রতিদিন গোসল:
গরমে অবশ্যই প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। অনেক সময় বৃষ্টি হলে বা একটু ঠাণ্ডা মনে হলে অভিভাবকেরা শিশুদের গোসল করাতে চান না। কিন্তু গোসল না করালে ঘাম বসে ঠাণ্ডা লেগে যাবে। তবে জ্বর থাকলে নরম কাপড় ভিজিয়ে বারবার শরীর মুছে দিতে হবে। মাথা পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া যেতে পারে।

পোশাক হবে সুতির:
শিশুদের পোশাক ঢিলেঢালা, সুতির ও নরম কাপড়ের হতে হবে। সুতির পোশাকের কোনও বিকল্প নেই। এমনকি রাতে শিশুকে কখনো খালি গায়ে ঘুমাতে দেওয়া ঠিক নয়। এতে ফ্যান বা এসির ঠাণ্ডা সরাসরি তাকে আক্রান্ত করতে পারে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, শিশুর ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে। এসির কারণে যেন খুব বেশি ঠাণ্ডা না হয়ে যায়।

চুল ছোট রাখতে হবে:
গরমে শিশুদের চুল ছেঁটে দিতে পারেন। ছোট চুলে আরাম পাবে। মেয়েশিশুদের বড় চুল যদি রাখতেই চান, তাহলে পনিটেইল করে রাখতে পারে। গোসলের পর চুল ভালোভাবে শুকাতে হবে।

শিশু ঘেমে বাসায় ফিরলে:
স্কুল বা খেলার মাঠ-যেখান থেকেই শিশু ঘেমে ফিরলে সবার আগে ভালো করে মাথা মুছে দিতে হবে। এরপর সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে হবে। আবার কোনও শিশু যদি গোসল করতে চায়, তার ঠাণ্ডার সমস্যা না থাকলে তা-ও করতে পারে। যেসব শিশু একটুতেই ঘেমে যায়, তাদের একটু পর পর ভালোভাবে ঘাম মুছে দিতে হবে। যদি বেশি ঘামে, তাহলে তাকে স্যালাইনের পানি, ডাবের পানি ও তাজা ফলের রস খেতে দিতে হবে।

ঠাণ্ডা পানি এড়িয়ে চলা:
গরম আবহাওয়া থেকে বাড়িতে এসেই শিশুরা ঠাণ্ডা পানি খেতে চায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি সব সময় শিশুদের জন্য ভালো। গরমে আরামের জন্য স্বাভাবিক পানির সঙ্গে সামান্য ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে টনসিল বা সর্দি-কাশি থাকলে ঠাণ্ডা পানি পুরোপুরি পরিহার করতে হবে।

বৃষ্টিতে ভিজলে:
শিশু বৃষ্টিতে ভিজলে সরাসরি গোসল করিয়ে দিন। মাথা মুছে গোসল করানোর দরকার নেই। এতে শিশু বিরক্ত হয়। দেরি হলে ঠাণ্ডাও লেগে যেতে পারে।

ঘামাচি হলে:
সাবান ব্যবহার না করলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ঘামাচি হয়। শিশুকে এক দিন পর পর সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে গোসল করাতে হবে। আর যদি ঘামাচি হয়েই যায়, তাহলে নরম কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছে দিলে ঘামাচি দূর হয়। এরপর পাউডার দিলে সে সতেজ থাকবে। তবে ঘেমে যাওয়া শরীরে কখনো পাউডার ব্যবহার করা যাবে না।

^উপরে যেতে ক্লিক করুন