সকালের নাশতার গুরুত্ব অনেক

 সকালের নাশতার গুরুত্ব অনেক


আজকাল রোদের ছোঁয়ায় চোখ-মুখ কুঁচকে ঘুম থেকে জেগে না উঠলেও সকাল কিন্তু হচ্ছেই। দিনের এই প্রথম ভাগটিই কিন্তু আমাদের পুরোটা দিন নিয়ন্ত্রণ করছে। আর সারা দিন নিজেকে চনমনে রাখতে সকালের নাশতার গুরুত্ব অনেক। আপনি যখন দীর্ঘ রাতের পর ঘুম থেকে জাগেন, তখন একটা দীর্ঘ সময় আপনার শরীর কোন খাবার পায় না। এর মানে হল আপনার জ্বালানির প্রয়োজন। আরো স্পষ্টভাবে বললে বলতে হয়, আপনার রক্তধারায় সম্ভবত গ্লুকোজের স্বল্পতা তৈরি হয়েছে।


নাশতা না খাওয়া মানে আপনি স্বল্প ব্লাডসুগার নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লেন। অথচ আপনার মস্তিষ্কের প্রয়োজন ব্লাডসুগারের, তার কাজ ঠিকমতো চালানোর জন্য। ফলে আপনার নাশতা না খাওয়া মানে মস্তিষ্ককে পুরোদমে কাজ করতে দিচ্ছে না। এতে করে আপনার বমি বমি ভাব হতে পারে, নার্ভাস হয়ে পড়তে পারেন কিংবা বোধশক্তি কমে যেতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব স্কুলে শিশু নাশতা করে, তাদের স্মরণশক্তি অনেক ভালো। তাদের যেসব ক্লাসমেট সকালে নাশতা করে না, তাদের চেয়ে তারা বেশি শেখে। ডাঃ সুমা ড্রনাভেলির মতে, "সকালের নাশতা বাকি দিনের ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।"

এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে না খেয়ে বের হওয়া মানে সারাটি দিন নষ্ট করা। আর খালি পেটে থাকার অর্থ হল গ্যাস্ট্রিককে স্বাগত জানানো। তাই সময় বের করে ভালোভাবে নাশতা করে বের হন। খুব বেশি সময়ের তাড়াহুড়ো থাকলেও অল্প কিছু খেয়ে নিন, যাতে পুষ্টির সঠিক চাহিদা মেটে। আর বাকিটুকু সঙ্গে করে নিয়ে যান। ক্লাস কিংবা অফিসের ফাঁকে একটু সময় বের করে শেষ করে ফেলুন নাশতাটুকু। আর সকালের নাশতায় এক কাপ চা থাকবে না, তাও তো হয় না। তরতাজা হয়েই বাকি দিনটুকু কাটাবেন নিশ্চিন্তে।
^উপরে যেতে ক্লিক করুন