- প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার, 03 ডিসেম্বর 2013 15:39
বিগত জোট সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কালোবাজারী, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে দেশের অর্থনীতি পতিত হয়েছিলো ধ্বংসের মুখে। ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে এনে আজ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিশ্বের কাছে ঈর্ষনীয় হিসেবে তুলে ধরতে এবং মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান সরকারের প্রয়াস প্রশংসার দাবী রাখে। আজ প্রকাশিত হল অর্থনীতি ও বাণিজ্য খাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র।
অর্থনীতিঃ
• রুপকল্প ২০২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১) ও ষষ্ট পঞ্চবার্ষিক (২০১১-২০১৫) পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর লক্ষ্যভেদী বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ।
• বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, ইউরোপে মারাত্মক অর্থ সংকট, উন্নত বিশ্বের বাজারগুলোতে চাহিদা হ্রাসসহ নানামুখী নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
• বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকায় উন্নীত। এডিপি বাস্তবায়ন হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত।
• রাজস্ব আদায় প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধি।
• মাথাপিছু আয় ২০০৮ সালে ৬৩০ ডলার থেকে ১০৪৪ ডলারে উন্নীত।
• ৫ কোটির বেশি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশে হ্রাস।
• মূল্যস্ফীতি ২০০৮ এর ১৩ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে হ্রাস।
• বৈদেশিকমুদ্রার রিজার্ভ ক্রমবৃদ্ধি। ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সৃষ্টি।
• রাজস্ব আদায়ে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৬ শতাংশ।
• বাজেট ঘাটতি জিডিপি’র ৫ শতাংশের কম।
• ৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০১ টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ। ৩৯ হাজার ২১৩ নারী এসএমই উদ্যোক্তাকে ৫ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান।
• ১ হাজার ২১৮ টি নতুন ব্যাংক শাখা খোলার অনুমোদন প্রদান। ৩ টি নতুন অনিবাসী বাংলাদেশি ব্যাংক এবং ৬ টি বাণিজ্যিক ব্যাংক স্থাপনের অনুমোদন প্রদান। ৩৭ টি ব্যাংককে পুরোপুরি এবং ৪ টি ব্যাংককে আংশিক অনলাইন ব্যাংকিং ব্যাবস্থা চালু।
• বিশ্বমানের অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস সৃষ্টি।
• ২০১০ সালে বাংলাদেশের পুজিবাজারে সংঘটিত অস্বাভাবিক পরিবর্তনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ।
বাণিজ্যঃ
• রপ্তানিতে গড়ে ১৮.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৭০৩ কোটি ডলার আয়। ২০০৮ এর রপ্তানি আয় ছিল ১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।
• দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাণিজ্য উদারীকরণ। উদার বাণিজ্য নীতি অনুসরণ।
• দেশব্যাপী টিসিবি’র ডিলার এবং খোলা বাজারের বিক্রয়ের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে সাশ্রয়ী মুল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ। ডিলারের সংখ্যা ১৪০ জন থেকে ৩ হাজার ৫৩ জনে উন্নীত।
• টিসিবি’র গুদাম ধারণক্ষমতা ১১ হাজার ৭০ টন থেকে ৪৩ হাজার ৬৪৫ টনে উন্নীত।
• ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা।
• রেজিস্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সকল গ্রাহক সেবা কার্যক্রম অনলাইনে সম্পাদন।