অসহযোগ আন্দোলন, ৭ই মার্চের ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

7march১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক সাফল্য পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে ভীত করে তোলে। তারা বুঝতে পারে যে বাঙালিরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলেই ৬ দফার ভিত্তিতে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।

তাই নির্বাচনের পরই তারা বাঙালিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকেন। কিন্তু ১লা মার্চ অনির্দিষ্ট কালের জন্য অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়। কারফিউ ভেঙে দেশব্যাপী হরতাল পালন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে পাক সেনারা। এতে অনেকেই হতাহত হন। ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে ছাত্র জনতার এক বিশাল সমাবেশে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ গঠন করা হয় এবং দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের অলিখিত সরকার প্রধানে পরিণত হন। তাঁর নির্দেশে সকল সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সচিবালয়, আদালত, পুলিশ, রেডিও, টেলিভিশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার কার্যক্রম চলতে থাকে।
৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের এক বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। তিনি বলেন, “ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধুর এই বলিষ্ঠ তাৎপর্যময় ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। 
^উপরে যেতে ক্লিক করুন