সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
হোটেল সোনারগাঁ থেকে: মোদি-খালেদা বৈঠকে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বৈঠক শেষে রোববার বিকেল পাঁচটার কিছু আগে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেল চারটার পর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ।
মঈন খান বলেন, বৈঠকে আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, সরকার আসবে, সরকার যাবে, কিন্তু দেশের মানুষ দেশেই থাকবে। একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সর্ম্পক প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার কথা হয়েছে দেশের যুবকদের নিয়ে, শিশুদের নিয়ে এবং সর্বপরি কথা হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান মঈন খান।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছি, এখন নরেন্দ্র মোদিকে দক্ষিণ এশিয়া অর্থাৎ সার্কের উন্নয়য়ের প্রতি যেভাবে তিনি জোর দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে, উন্নয়নকে গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর শক্তিশালী করে। গণতন্ত্র ব্যতিরেকে উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না।
মঈন খান বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, এখন বলা হচ্ছে, ‘উন্নয়ন আগে পরে গণতন্ত্র’, এটি বাস্তব সম্মত নয়। কোন উন্নয়ন মানুষের কল্যাণে আসবে না যদি না দেশে গণতন্ত্র থাকে, কথা বলার স্বাধীনতা থাকে। যদি না বিচার ব্যবস্থা সব কিছুর উপরে থাকে। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকে। যদি না সে দেশের নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ থাকে। যদি না প্রশাসন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে।
মঈন খান আরো বলেন, আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি- যদি সবাইকে সমান সুযোগ দিতে না পারা যায় এবং গণতন্ত্র না থাকে তাহলে কোন কিছুই সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৫
কেজেড/জেডএম