পয়েট অব প্রগ্রেস’ জননেত্রি শেখ হাসিনা

পয়েট অব প্রগ্রেস’
শামছুদ্দীন আহমেদ১১ জুন, ২০১৫ ইং ২১:৪৪ মিঃ
 
‘পয়েট অব প্রগ্রেস’
“বঙ্গবন্ধু যদি হন ‘পয়েট অব পলিটিক্স’,  তাহলে তার কন্যা-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন ‘পয়েট অব প্রগ্রেস’।” 
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাকে এভাবেই বিশেষায়িত করলেন সংরক্ষিত আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তারানা হালিম।
 প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তারের পর ১১ মাস কারাভোগ করে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্ত হন শেখ হাসিনা। 
অধিবেশনের শুরুতে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে দিবসটির কথা স্মরণ করিয়ে দেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১১ মাসের নিঃসঙ্গ কারাবাসের পর এদিন শেখ হাসিনা মুক্তি পান। সেদিন শুধু শেখ হাসিনা মুক্তি পাননি, এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র মুক্ত হওয়ার পথ তৈরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী সমর্থিত একটি অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যায় এবং গণতন্ত্রহরণ ও বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টার প্রতিবাদ করার কারণেই সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর আগে তাকে দেশে ফিরতেও বাধা দেয়া হয়। কারাবিধির সকল বিধান  লঙ্ঘন করে সে সসময় তাকে ১১ মাস নির্জন অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়। তাদের আশা ছিল-এই নির্জনতা হয়তো তাকে শেষ করে দেবে। এর আগেও ১৯ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়। তারপর অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে রাজনৈতিকভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। সেই নির্জন কারাগারে বসেই শেখ হাসিনা এই জাতির পথ নির্দেশিকা তৈরি করেন। যেই নির্দেশিকার ভিত্তিতেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ নামে নির্বাচনি ইশতেহার দিতে পেরেছিল। সেই সনদে আজও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই। ১৯৮১ সালেও শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই আমরা ’৯০-এ গণতন্ত্রে ফিরতে পেরেছিলাম। ২০০৮ সালের ১১ জুনও তিনি দেশে ফিরেছেন বলেই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছিল এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল।
দীপু মনি যখন এই বক্তব্য রাখছিলেন তখন অধিবেশন কক্ষে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর আসনের পেছনে তৃতীয় সারিতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন দীপু মনি। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী স্পিকার ও বক্তব্যরত সংসদ সদস্যের মাঝখানের রেখা অতিক্রম করার বিধান নেই-সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিজের আসনে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বসে পড়েন দীপু মনির বামের খালি আসনে। প্রধানমন্ত্রী যখন এসে পৌঁছান তখন দীপু মনি বলে ওঠেন ‘আমাদের সেই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন’। এসময় উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে তাকে স্বাগত জানান। দীপু মনি সম্ভবত বক্তব্য আর বাড়াতে চাচ্ছিলেন না, তখন শেখ হাসিনা তাকে বলেন ‘বলো, বলো, থামছো কেন’।
এরপর দীপু মনি বলেন, কারাগারে থাকার সময় শেখ হাসিনাকে স্লো-পয়জনও দেয়া হয়েছিল। কারাগারে বসে করা তার নির্দেশিকা ধরেই গত সাড়ে ৬ বছর ধরে দেশের বিষ্ময়কর অগ্রযাত্রা সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে এই নেতৃত্বের বিকল্প নেই। আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখুন, দীর্ঘায়ু দিন।
 
 
^উপরে যেতে ক্লিক করুন