বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর বেসরকারি শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এই দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথকভাবে
আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। ‘অবসর সুবিধা বোর্ডের’ আর্থিক সুবিধা দেয়ার জন্য
চাকরিকালীন শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪ শতাংশ এবং ‘কল্যাণ ট্রাস্টের’ আর্থিক
সুবিধা দিতে ২ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়। এছাড়া কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর
সুবিধা বোর্ডের প্রত্যেকটির স্থায়ী আমানত হিসাবে আড়াইশ কোটি টাকা রয়েছে।
শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার পর এই দুই খাতের টাকা থেকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়।
প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে যান। ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ
ট্রাস্ট ও ২০০৫ সাল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে আর্থিক সুবিধা পান
শিক্ষকরা।
অনলাইনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদানের মাধ্যমে ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কল্যাণ ট্রাস্টের অন-লাইন সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মধ্যদিয়েই সংস্থাটির কার্যক্রমে অমুল পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল পদ্ধতি চালু, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করায় এ সুফল পাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এখন তারা নিজ বাড়িতে বসেই অন লাইনে কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে পারছেন।
শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সুত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রাপ্তির জন্য ট্রাস্টের অনলাইন সেবার কার্যক্রম চালুর ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ইতোমধ্য অবসরকালীন ভাতা বাবদ প্রায় ৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রজেক্টের সহায়তায় কল্যাণ ট্রাস্টকে ডিজিটালে উন্নীত করা হয়েছে। গত তিন বছরে ৩১ হাজার ১শ’ ৯৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ভাতার পরিমাণ ৪ শ’ ২ কোটি ৫৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যা কল্যাণ ট্রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মোট টাকার চেয়েও বেশি। গত ১২ বছরে ৭৬ হাজার ৯শ’ ৩৫টি আবেদনের বিপরীতে ৩শ’ ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এ ব্যাপারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এক সময়ে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তির কোন শেষ ছিল না। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করার পর প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদনপত্রের ক্রমানুসারে কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ শিক্ষকদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালের বেডে কিংবা শিক্ষকদের বাড়িতে চেক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টম্বর ২০০৯ সালে ৩ বছরের জন্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজুকে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শিক্ষা সচিবের নের্তৃত্বে মোট ২১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। যার মধ্যে ৭ জন সরকারী কর্মকর্তা, বাকী ১৪ জন বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী প্রতিনিধি। বেসরকারি শিক্ষকদের প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালে সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে। কিন্তু সংস্থাটি কাজ শুরু করার পরপরই ১৯৯১ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি’র শাসনামলে কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পূনরায় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৩৩ হাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ লাখ এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অন্তর্ভূক্ত। এই সকল শিক্ষক কর্মচারীরা যখন অবসরে যান তখন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদেরকে এককালীন কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাহাপরিচালক প্রফেসর নোমান-উর-রশীদ বাসস’কে বলেন, আগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে গেলে তারা কল্যাণ ট্রাস্টের চেকের পেছনে ঘুরতেন আর এখন চেক তাদের পেছনে ঘুরে। তিনি বলেন, অবসারকালীন ভাতা সাধারণ শিক্ষকদের দোর গোড়ায় পৌছে দেবার লক্ষ্যে আমরা সকল ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা সফলভাবেই সম্পন্ন করছি। এক সময়ে এই ট্রাস্টের টাকা পেতে শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। বর্তমানে সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা হয়েছে। সে কারণেই শিক্ষকরা অতি সহজেই তাদের অবসরকালীন ভাতা তুলতে পারছেন। হজ যাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ শিক্ষকদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের বাড়িতে চেক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মহাপরিচালক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাপ্রাপ্ত সড়াইল ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাইতুল খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের জন্য অনেক বড় সফলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থেই সবাই উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে গরীব শিক্ষকরা অবসরে যাবার সাথে সাথেই তারা এ অবসর ভাতা পাচ্ছেন।
www.bangladeshnews24x7.com/বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম/প্রতিনিধি/এসএস/জের/০৪.১১.২০১২
অনলাইনে ভাতা প্রদানে বেসরকারি শিক্ষকদের ভোগান্তি দূর হয়েছে
নিউজডেস্ক,বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কমঅনলাইনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রদানের মাধ্যমে ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হয়েছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কল্যাণ ট্রাস্টের অন-লাইন সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর মধ্যদিয়েই সংস্থাটির কার্যক্রমে অমুল পরিবর্তন এসেছে। ডিজিটাল পদ্ধতি চালু, ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করায় এ সুফল পাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এখন তারা নিজ বাড়িতে বসেই অন লাইনে কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করতে পারছেন।
শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সুত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা প্রাপ্তির জন্য ট্রাস্টের অনলাইন সেবার কার্যক্রম চালুর ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ইতোমধ্য অবসরকালীন ভাতা বাবদ প্রায় ৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রজেক্টের সহায়তায় কল্যাণ ট্রাস্টকে ডিজিটালে উন্নীত করা হয়েছে। গত তিন বছরে ৩১ হাজার ১শ’ ৯৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ভাতার পরিমাণ ৪ শ’ ২ কোটি ৫৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যা কল্যাণ ট্রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মোট টাকার চেয়েও বেশি। গত ১২ বছরে ৭৬ হাজার ৯শ’ ৩৫টি আবেদনের বিপরীতে ৩শ’ ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এ ব্যাপারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এক সময়ে কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তির কোন শেষ ছিল না। বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করার পর প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা হয়েছে। এখন সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদনপত্রের ক্রমানুসারে কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ শিক্ষকদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালের বেডে কিংবা শিক্ষকদের বাড়িতে চেক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টম্বর ২০০৯ সালে ৩ বছরের জন্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজুকে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শিক্ষা সচিবের নের্তৃত্বে মোট ২১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। যার মধ্যে ৭ জন সরকারী কর্মকর্তা, বাকী ১৪ জন বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী প্রতিনিধি। বেসরকারি শিক্ষকদের প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালে সরকার কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে। কিন্তু সংস্থাটি কাজ শুরু করার পরপরই ১৯৯১ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি’র শাসনামলে কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পূনরায় কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৩৩ হাজার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫ লাখ এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অন্তর্ভূক্ত। এই সকল শিক্ষক কর্মচারীরা যখন অবসরে যান তখন কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদেরকে এককালীন কল্যাণ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাহাপরিচালক প্রফেসর নোমান-উর-রশীদ বাসস’কে বলেন, আগে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে গেলে তারা কল্যাণ ট্রাস্টের চেকের পেছনে ঘুরতেন আর এখন চেক তাদের পেছনে ঘুরে। তিনি বলেন, অবসারকালীন ভাতা সাধারণ শিক্ষকদের দোর গোড়ায় পৌছে দেবার লক্ষ্যে আমরা সকল ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা সফলভাবেই সম্পন্ন করছি। এক সময়ে এই ট্রাস্টের টাকা পেতে শিক্ষক কর্মচারীদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। বর্তমানে সকল অনিয়ম দুর্নীতি দূর করা হয়েছে। সে কারণেই শিক্ষকরা অতি সহজেই তাদের অবসরকালীন ভাতা তুলতে পারছেন। হজ যাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, অসুস্থ শিক্ষকদের অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের বাড়িতে চেক পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মহাপরিচালক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধাপ্রাপ্ত সড়াইল ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাইতুল খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের জন্য অনেক বড় সফলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থেই সবাই উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে গরীব শিক্ষকরা অবসরে যাবার সাথে সাথেই তারা এ অবসর ভাতা পাচ্ছেন।
www.bangladeshnews24x7.com/বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম/প্রতিনিধি/এসএস/জের/০৪.১১.২০১২