– খবর ফক্স নিউজ (২৮ এপ্রিল ২০১০)
নূহ নবী (আ)’র মহাপ্লাবন
সূরা হুদ ৪২ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত -
আয়াতে বলা হয়েছে, পর্বত প্রমাণ তরঙ্গের মধ্যে এ (নৌকা) তাদের নিয়ে বয়ে চললো, নূহ তার পুত্রকে যে (তাদের ডাকে) পৃথক ছিল, ডেকেবললেন, হে বৎস আমাদের সঙ্গে আরোহন কর এবং অবিশ্বাসী কাফেরদের সঙ্গী হয়ো না।
হযরত নূহ (আঃ) বহু বছর বেঁচেছিলেন এবংমানুষকে সৎ পথে আনারজন্য তিনি বহুকাল ধরে চেষ্টা চালান। কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেল তার সম্প্রদায়ের মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া আর কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে রাজী হলো না, বরং তারা হযরত নূহ(আঃ)কে নিয়ে নানাভাবেব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা শুরু করলো। ফলে গোয়ার্তুমী ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদের উপর ঐশী শাস্তি অনিবার্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ তার বিশিষ্ট পয়গম্বর হযরত নূহ (আঃ)কে বিষয়টি অবহিত করলেন। আল্লাহর নির্দেশ মত হযরত নূহ একটি বিশালকিশতী বা নৌকা তৈরী করলেন।
এরপর একদিন আল্লাহর শাস্তি দুনিয়াকে গ্রাস করলো, মাটিথেকে পানি উদগত হতে লাগলো এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকলো। কোরআনের বক্তব্য অনুযায়ী পাহাড়েরমত তরঙ্গ পৃথিবীকে গ্রাস করলো, মহাপ্লাবনে সবকিছুই তছনছ হয়ে গেল। হযরত নূহ (আঃ) এর সঙ্গী সাথী এবং নৌকায় আশ্রিত অন্যান্য প্রাণী এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু বিষ্ময়ের বিষয় হচ্ছে, হযরত নূহ (আঃ) এর পুত্র কেনআন কাফেরদের দলভুক্ত হওয়ার কারণে নৌকায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তুযখন মহাপ্লাবনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল, হযরতনূহ (আঃ) এরমনে যেন পিতৃস্নেহ জেগে উঠলো, তিনি স্বস্নেহে পুত্র কেনআনকে কাফেরদের দল ত্যাগ করে।
মুশরেকদের সাথে ওঠা বসার কারণে যে কেউ এমনকি পয়গম্বরের সন্তানওযে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই আয়াত তারই উদাহরণ।
এবারে সূরা হুদের ৪৩নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “(হযরত নূহের পুত্র) বললো, আমি এমন এক পর্বতে আশ্রয় নেব যা আমাকে প্লাবন হতে রক্ষা করবে। (হযরত নূহ) বললেন, আজ আল্লাহর বিধান হতে রক্ষা করার কেউ নেই।(রক্ষা পাবে) সেই যাকে আল্লাহ দয়া করবেন। এরপর তরঙ্গ ওদের বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং (হযরত নূহের পুত্র) নিমজ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হলো।