ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব আমি বাঙ্গালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা।
আমি স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দিতে চাই যে, আমাদের দেশ হবে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী ও সমাজতান্ত্রিক দেশ।
এদেশে কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে। (১০ জানুয়ারি ১৯৭২)
এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।
(১৬ জানুয়ারি ১৯৭২)
সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না। (২১ জানুয়ারি ১৯৭২)
বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অসিস্ত বিপন্ন হবে। (৯ মে ১৯৭২)
দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব।
(১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৩)
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন, তা হচ্ছে: নেতৃত্ব, ম্যানিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।
গণআন্দোলন ছাড়া, গণবিপ্লব ছাড়া বিপ্লব হয় না।
বিশ্বে দুই শিবিরে বিভক্ত-শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। (১৮ জানুয়ারি ১৯৭৪, জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে)।
আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগণ যেদিন বলবে 'বঙ্গবন্ধু ছেড়ে দাও', বঙ্গবন্ধু একদিনও রাষ্ট্রপতি, একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে নাই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ কায়েম করার জন্য। (২৬ মার্চ ১৯৭৫)