(a+b)²=a²+2ab+b²
৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকেই যা আমাদের থাডা মুখস্ত! আজও অনেক অংক সমাধানের কাজে যা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু, এই সূত্রটা আসলে কিসের সূত্র?
কিভাবে?
কারন, বর্গের এক বাহুর দৈর্ঘ্য c হলে আমরা জানি, বর্গের ক্ষেত্রফল= c²
তেমনি, c কে যদি আমরা a ও b দুইটাভাগে ভাগ করি, তাহলে, c=a+b
অতএব, c²=(a+b)²
তাহলে এখন আমরা জানি, (a+b)² হচ্ছে কোন বর্গের ক্ষেত্রফল।
সূত্র প্রতিষ্ঠাকরণ
গল্প দিয়ে শুরু এবং শেষঃ গণিত পণ্ডিতেরা যখন কোন বর্গক্ষেত্রের আর আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বের করা শিখল, তখন তারা শিখল যে,
কোন বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল= (বাহু)²
এবং, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল= দৈর্ঘ্য X প্রস্থ
যদি কোন বর্গের যেকোনো এক বাহুর দৈর্ঘ্য হয় c, তাহলে তার ক্ষেত্রফল= c²
চিত্রে দেখানো হলঃ
একদিন তাদের মধ্যে একজন বর্গক্ষেত্রের বাহুকে অসমান দুইভাগে ভাগ করলো।
অর্থাৎ, প্রথমে বাহু যদি হয় c, পরে সে c কে এমন ভাবে ভাগ করলো যাতে c=a+b
হয়। চিত্রে a ও b কে খণ্ডিত করে দেখানো হলঃ
এখানে দেখা যাচ্ছে, c কে দুই অংশে ভাগ করায় c=a+b হয়। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে এই বর্গের নতুন ক্ষেত্রফল=(বাহু)²=c²=(a+b)²
এখন, এই (a+b)² এর মান বের করাই হচ্ছে আসল উদ্দেশ্য। যা হবে (a+b)² এর সূত্র।
সুত্র প্রমাণের আগে নিচের চিত্রটি দেখে নিই...
দেখা যাচ্ছে, বাহুগুলোকে সংযোগ করার পর বড় যেই অংশটা থেকে যাচ্ছে, তার
প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য a এবং যার ক্ষেত্রফল= a². অপরদিকে ছোট অংশটার
প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য b এবং এর ক্ষেত্রফল= b²
কিন্তু আরও দুইটা অংশ থেকে যাচ্ছে। যেই অংশ দুটি আয়তক্ষেত্র। এবং, চিত্রানুসারে এদের দৈর্ঘ্য a এবং প্রস্থ b
অতএব, এদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রফল= দৈর্ঘ্য X প্রস্থ= a x b= ab
নিচের চিত্রে দেখানো হলঃ
সুতরাং, দুইটি আয়তক্ষেত্রের মোট ক্ষেত্রফল= ab + ab= 2ab
এখন, সমগ্র বর্গের ভেতরের ক্ষেত্রফলগুলো যোগফল= a²+b²+ab+ab = a²+b²+2ab = a²+2ab+b²
অতএব, (a+b)²= a²+2ab+b²