
গ্রন্থাগারঃ-
ল্যাটিন শব্দ লিবার ( Liber ) থেকে লিবারিয়াম ( Librarium) এবং ইংরেজি লাইব্রেরী শব্দের উৎপত্তি। ইংরেজি লাইব্রেরীকে
বাংলায় গ্রন্থাগার নামে অভিহিত করা হয়। গ্রন্থ মানে বই আর আগার মানে গৃহ। অথ্যা বই
রাখার গৃহকে গ্রন্থাগার বলা হয়।
গ্রন্থাগার বলতে
এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়, যেখানে তাৎক্ষণিক অথবা ভবিষ্যতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে
বই ,পত্র পত্রিকা, সাময়িকী, পান্ডুলিপি,চাট,ফিল্ম,মাইক্রোফিল্ম, মাইক্রোফিস,ফনোগ্রাফ,রেকড,চিত্র,নকশা,ক্যাসেট,স্লাইড,ডিস্ক
ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রী সনাক্তকরণ ,সংগ্রহ ,সংগঠন,সংরক্ষণ,বিন্যাস ও বিতরণ করা হয়।
গ্রন্থাগারের
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ- যে কোন গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠা ও সংগঠনের পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য বিদ্যমান।
গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য সমুহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. গ্রন্থাগারের
উদ্দেশ্য হচ্ছে অতীতের প্রজ্ঞাকে সমকালীন সমাজের কাছে উপস্থাপন করা , সমকালিন চিন্তাধারা
ও জ্ঞানকে সমাজে সঞ্চারিত করা এবং ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা।
২. সর্বস্তরের
জনসাধারণকে স্ব-শিক্ষিত তথা সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলা।
৩. সকল শাখার
জ্ঞানকে একত্রিত করে স্থায়িত্বদানের উদ্দেশ্যেই মুলত গ্রন্থাগারের সৃষ্টি।
৪. মানব সম্পদ
উন্নয়ন তথা সংস্কৃতি ,সাহিত্য,শিল্পকলা ওক বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি সাধন করা।
৫. সর্বস্তরের
জনসাধারণের পাঠাভ্যাস সৃষ্টি তথা জ্ঞান স্পৃহা বৃদ্ধিকরা।
৬. নির্দিষ্ট
এলাকা,অঞ্চল ,পেশা,শ্রেণী বা প্রতিষ্ঠানের পাঠক-পাঠিকাদের পাঠ চাহিদা পুরণ করা।
৭. গ্রন্থাগার
সামগ্রীর উন্নত ব্যবহার নিশ্চিত ও ত্বরান্বিত করা।
৮. সর্বস্তরের
জনসাধারণকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
৯. মানুষের মেধা,মনন
ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ সাধন করা।