অবিশ্বাস্য দাম সব কিছুর। কোন কিছুই ঐ দাম দিয়ে কেনার মতো না। দাম যে বেশি সেটা ওরা নিজেরাও মানে।
ওদের নিজেদের প্রডাক্ট নেই বললেই চলে। প্রায় সবই ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশি প্রডাক্টও প্রচুর। আর আছে চাইনিজ আর থাইল্যান্ডের পন্য। অত্যন্ত ব্যয়বহুল শহর থিম্পু। খুব সাধারন মধ্যবিত্ত জীবন-যাপনের জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার রুপি মতো দরকার হয়, বাংলাদেশি প্রায় ৩৩ হাজার টাকার সমমান। ভূটানের মুদ্রার নাম Ngultrum। ভারতীয় রুপীর ১০০% সমমূল্য। ভারতীয় মুদ্রা সব জায়গাতেই সমান চলে, আলাদা করে Ngultrum কিনতে হয়না।
ভিসা:
ভারত-ভূটানের বর্ডার ওপেন তাই তাদের ভিসা লাগে না। ভিসা লাগেনা ভুটানের, তবে এন্ট্রি পারমিট নিতে হয় অবশ্যই, ওটাই ভিসা।
এখানে বলে রাখা ভালো এয়ারপোর্টে অন এ্যরাইভাল যে ভিসা দেয় তা শুধু ভুটানের তিনটি শহর ফুয়েন্টশোলিং, থিম্পু আর পারো র জন্য।
অন্য জায়গায় যেতে হলে তার জন্য আলাদা করে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ভিসা নিতে হয়।
নিজেরা গেলে খরচ অনেক কম পড়বে। প্লেনে যাওয়াই ভালো, যাওয়া-আসার ভাড়া ট্যাক্স সহ ১৬,৫০০ টাকা ড্রুক এয়ারে। ওখানে কেনাকাটা করতে যাবার কোন কারন নেই। অসম্ভব বেশি সব কিছুর দাম।
ভারত এবং বাংলাদেশিদের জন্য ভূটানে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা। পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদেরকে প্রতিদিনের জন্য ২০০ ডলার করে ফী দেয়া লাগে ভূটান সরকারকে!
প্রশ্ন: আমি ভুটান যেতে চাই ,কিণ্তু ,ভিসা ,৭ দিনের জন্য কেমন খরচ হবে,যেমন হোটেল(সস্তা),Bangladesh থেকে কিভাবে টাকা নিয়ে যাবো,নিরাপওা কেমন(বিশেষ করে বুড়িমারি )বিমানে গেলে ভালো নাকি বাসে এসব তথ্য আমাকে জনাবেন ।
উত্তর : খরচ কমাতে চাইলে বাসে গেলেই ভালো। রাস্তা খুব ভালো, তবে দীর্ঘ জার্নি, যা মেয়ে ও বুড়োদের জন্য সমস্যা হতে পারে। ইন্ডিয়ার ভিসা নিতে হবে শুধু, ট্রান্জিট ভিসা। ভুটানের ভিসা বর্ডার অথবা এয়ারপোর্ট থেকে নিতে হয়, পাসপোর্টে সিল মেরে দেবে, ওটাই ভিসা। ক্রেডিট কার্ড না থাকলে পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স করতে হবে ব্যাংক থেকে, ইন্ডিয়ার ভিসার এ্যাপ্লিকেশনের জন্য। বুড়িমারি-চেংরাবান্ধা বর্ডার থেকে ডলার ভাঙ্গিয়ে রুপি করে নিতে পারবেন। ভুটানে ইন্ডিয়ান রুপি ওদের নিজস্ব মূদ্রার মতোই চলে, একই মান।
শ্যামলি-বিআরটিসির এসি বাস পাবেন বুড়িমারি পর্যন্ত। রাতে রওনা হলে সকালে গিয়ে পৌছাবেন। বুড়িমারি নিরাপদ। ওখানে সমস্যা হলো বাথরুম খুবই নোংরা। ঐদিনই ভারত-ভুটান সীমান্ত জয়গাঁও গিয়ে ভুটানে ঢুকে যেতে পারেন। ফুয়েনশলিং-এ থ্রি-স্টার মানের হোটেলও আছে। রাতটা ওখানে থেকে সকালে বাসে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
ভুটান ঘোরার জন্য ৩ দিনই আমার মনে হয় যথেস্ট। ৭ দিন থেকে কি করবেন? বাকি সময়টা বরং দার্জিলিং-কালিম্পং-এ কাটিয়ে আসতে পারেন।
ভুটান খুবই এক্সপেন্সিভ জায়গা। খরচের ব্যাপারে আসলে বলতে পারছিনা ডিটেইলস।
ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর ফুয়েনশলিং, রাজধানী থিম্পু, সাবেক রাজধানী পুনাখা, এয়ারপোর্টের শহর পারো, এগুলোই হলো কমন বেড়াবার জায়গা। এগুলোর কোনটাই মিস করবেননা। বিশেষ করে পারো, পারোর পাহাড়ী সৌন্দর্য্য অতি মনোমুগ্ধকর