মধুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত করে। তাছাড়া মধু ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে এবং ত্বককে অতিরিক্ত তেল থেকে মুক্ত করে।
প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন। এবার হাতের তালুতে আধা চা চামচ মধু নিয়ে নিন। তারপর হাতের তালু ঘষে মধু গরম করে নিন। এরপর পুরো মুখে মধু ম্যাসাজ করে নিন ২ মিনিট ধরে। ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন কয়েকবার করে।
রাতে জলপাই তেল ম্যাসাজ করুন
আপনার ত্বক তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক যাই হোক না কেনো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জলপাই তেল দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বক মসৃণ হয় এবং ধীরে ধীরে ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।
প্রথমে হাতের তালুতে জলপাই তেল নিয়ে দুই হাতে ঘষে তেল কিছুটা গরম করে নিন। এবার এই তেলটা পুরো মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন নিচের থেকে উপরের দিকে। এভাবে প্রায় ২ মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ম্যাসাজ করলে ত্বক থেকে মেকআপ এবং ময়লা উঠে আসবে ভালো করে। এরপর কুসুম গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে মুখের অতিরিক্ত তেল মুছে নিন ভালো করে। এভাবে প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে নিলে ব্রণ ওঠা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
গোলাপ জলের টোনার
প্রতিদিন মুখ ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করার জন্য টোনার ব্যবহার করা জরুরী। কারণ লোমকূপ খোলা থাকলে ময়লা ঢুকে ব্রণের উপদ্রব বৃদ্ধি করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল বেশ কার্যকারী টোনার হিসেবে কাজ করে।
পানিতে গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে বরফ বানিয়ে নিন। সকালে বাইরে যাওয়ার আগে অথবা বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পর এই বরফ দিয়ে পুরো মুখ ঘষে নিন। ত্বক দীর্ঘ সময় ধরে তেল মুক্ত থাকবে এবং লোমকূপগুলো বন্ধ হবে। বরফ হিসেবে ব্যবহার করতে না চাইলে তুলায় গোলাপ জল লাগিয়ে মুখটা মুছে নিলেও টোনারের কাজ হবে।
স্ক্র্যাবার হিসেবে বেকিং সোডা
আমাদের ত্বকে মরা চামড়া ও ব্ল্যাক হেডস জমে। এগুলোর জন্য ব্রণ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। তাই ত্বককে মাঝে মাঝে স্ক্র্যাবিং করতে হয়। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা বেশ ভালো স্ক্র্যাবার।
প্রথমে বেকিং সোডা ও সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এক মিনিট ম্যাসাজ করার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে, ব্রণের দাগ কমবে এবং ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।