লাউয়ের অন্যতম ব্যবহার হচ্ছে শ্বেতিরোগের একদম শুরুতে যখন ছোট ছোট দাগ দেখা দেয় তখনই প্রতিদিন একবার লাউফুল ঘষে দিলে শ্বেতি রোগের বিস্তার বন্ধ হয়। দিনে ১৫ বার ব্যবহার করলে রোগ সেরে যায়। শ্বেতি ছাড়াও ছুলি রোগে লাউ ব্যবহার করা যায়। আগুনে ঝলসে পড়া লাউয়ের টুকরো ছুলির স্থানে ঘষে দিলে ছুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল না হলে সারে না। সেজন্যে চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।
সুপ্রাচীন কাল থেকে মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য লাউ ব্যবহার হয়ে আসছে। কচি লাউয়ের সাদা নরম অংশটি প্রতিদিন মুখে ঘষতে হয়। এতে ত্বকের মরা কোষ উঠে যায় এবং বলিরেখা দূর হয়। ত্বক হয় টান টান। মুখের মেছতা দাগ উঠাতেও লাউ ব্যবহার করা যায়। মুখে দাগ সৃষ্টি হওয়া মাত্রই লাউয়ের টুকরো ঘষতে হয় মুখে। এতে কয়েক দিনের মধ্যেই মেছতার দাগ উঠে যায়। লাউয়ের টুকরো ঘষলে মুখের কালো দাগও উঠে যায়।
এছাড়াও লাউয়ের বেশ কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ব্যবহার রয়েছে। গায়ে জ্বালা-পোড়া এবং একই সঙ্গে বমি বমি ভাব দেখা দিলে লাউ ঝলসে তার রস বের করতে হয়। সেই রসের সঙ্গে এক চা চামচ আন্দাজ মধু মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব ও জ্বালা-পোড়া কেটে যায়। লাউ খেলে শরীরের খাদ্য হজম ক্ষমতা বাড়ে। কোষ্ঠ-কাঠিন্য কেটে যায়।