বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে
নতুন
করে
বিদেশী
লবিস্ট
ফার্ম
নিয়োগ
করেছে
বিএনপি। দুবাইভিত্তিক এ
ফার্ম
নিয়োগ
দিয়ে
ওয়াশিংটনে দলটি
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা
যুদ্ধাপরাধের বিচার
বন্ধে
লবিং
করছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে
বিশ্বের চলমান
বাণিজ্য কঠিন
করে
দেয়ার
জন্য
তাদের
কাজ
করতে
বলা
হয়েছে।
এরা
নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলের
সঙ্গে
বিএনপি
সম্পর্ক জোরদারের জন্যও
তৎপরতা
চালাচ্ছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের
ঘটনাসহ
অন্যান্য বিষয়
নিয়েও
সংস্থাটি কাজ
করবে।
এজন্য
লবিস্ট
ফার্ম
একিন
গাম্পের পেছনে
কোটি
কোটি
টাকা
ব্যয়
করছে
বিএনপি। এই
অর্থের
উৎস
সন্ধানে কাজ
শুরু
করেছে
সরকার।
এ
ধরনের
কাজের
জন্য
লবিস্ট
ফার্ম
নিয়োগের বিষয়ে
খোদ
সরকারের পক্ষ
থেকেই
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ
করা
হয়েছে।
এ
প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন,
ওয়াশিংটনে বিএনপি
লবিস্ট
ফার্ম
নিয়োগ
করে
সরকারের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের
এই
অর্থের
উৎস
অনুসন্ধান করবে
সরকার।
অর্থের
উৎস
সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেও জানতে
চাওয়া
হবে।
বিএনপি
যেহেতু
নির্বাচন কমিশনে
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল,
সেহেতু
নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেও এ
বিষয়ে
তদন্তের জন্য
সরকার
অনুরোধ
জানাবে
বলে
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ
করেন।
সরকারের ওপর
চাপ
সৃষ্টি
করতে
বিএনপি
লবিস্ট
নিয়োগ
করেছে
বলে
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ
প্রত্যাখ্যান করেছে
দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক
সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
বিএনপির মুখপাত্র ড.
আসাদুজ্জামান রিপন
বলেন,
লবিস্ট
নিয়োগ
সম্পর্কে সরকারের পক্ষ
থেকে
যে
অভিযোগ
তোলা
হচ্ছে
তা
হাস্যকর। বিএনপির লবিস্ট
নিয়োগের আয়ের
উৎস
নিয়ে
সরকারের অনুসন্ধান সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে
আমাদের
দলের
আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা
দেয়া
হয়েছে।
ঢাকায়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি
সূত্র
জানিয়েছে, বিএনপি
যে
লবিস্ট
ফার্মের সঙ্গে
চুক্তি
করেছে
তার
নাম
আকিন
গাম্প।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে দুবাইভিত্তিক লবিং
ফার্ম
আকিন
গাম্পের প্রধান
দফতর।
চলতি
বছরের
জানুয়ারি মাসে
এ
চুক্তি
হয়।
সূত্রটি দাবি
করে,
চুক্তি
অনুযায়ী বিএনপি
আকিন
গাম্পকে প্রথমে
এক
কোটি
টাকা
দেয়।
এরপর
প্রতি
মাসে
৭০
থেকে
৮০
লাখ
টাকা
দেয়া
হবে।
ফার্মটির পক্ষ
থেকে
দেয়া
বার্ষিক প্রতিবেদনে এ
তথ্য
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আইন
ও
বিচার
বিভাগের কাছে
এই
প্রতিবেদন পেশ
করেছে
আকিন
গাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন
এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের (এএফআরএ)
অধীনে
সে
দেশে
কাজ
করছে
আকিন
গাম্প।
এজন্য
তারা
ওই
দেশের
আইন
ও
বিচার
বিভাগের কাছে
প্রতিবেদনটি পেশ
করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম
প্রকাশ
না
করার
শর্তে
জানান,
আকিন
গাম্পের সঙ্গে
বিএনপির যে
চুক্তি
হয়েছে
তাতে
বিএনপির প্রধান
অফিস
২৮
ভিআইপি
রোড
নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ এই
ঠিকানা
ব্যবহার করা
হয়েছে।
বিএনপিকে সহায়তা
দেয়ার
জন্য
আকিন
গাম্প
লন্ডনের ব্যারিস্টার অ্যাট
ল
টবি
ক্যাডম্যানের সহায়তা
চেয়েছে। গত
২২
জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ
থেকে
টবি
ক্যাডম্যানের কাছে
একটি
চিঠি
পাঠিয়ে
এই
সহায়তা
চাওয়া
হয়।
টবি
ক্যাডম্যানের কাছে
পাঠানো
এই
চিঠিতে
বলা
হয়,
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি)
ও
আকিন
গাম্প
একটি
সমঝোতায় পৌঁছেছে। সে
অনুযায়ী বিএনপিকে সহায়তা
দেবে
আকিন
গাম্প।
এ
বিষয়ে
সহায়তা
দেয়ার
জন্য
আপনাকে
অনুরোধ
জানাচ্ছি। বিএনপিকে কী
কী
বিষয়ে
সহায়তা
করতে
হবে
চিঠিতে
সে
বিষয়েও
উল্লেখ
করা
হয়।
চিঠিতে
উল্লেখ
করা
বিষয়গুলোর মধ্যে
আছে,
বাংলাদেশের জাতীয়
নির্বাচন নিয়ে
বিএনপি
ও
ওয়াশিংটনের বিভিন্ন মহলের
মধ্যে
সম্পর্ক বাড়ানো,
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার
বন্ধ
করতে
লবিং
অব্যাহত, বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন
ইত্যাদি। কাজগুলো একাধিক
ফোরামে
করতে
হবে
বলেও
উল্লেখ
করা
হয়।
এছাড়া
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার
সম্পর্কে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি ও
ওয়াশিংটনের বিভিন্ন মহলে
তুলে
ধরতে
হবে
বলেও
উল্লেখ
করা
হয়।
দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ
করছে
প্রায়
এক
হাজার
আইনজীবী ও
অন্যান্য পেশাজীবী। ওয়াশিংটন ছাড়াও
নিউইয়র্ক, লস
অ্যাঞ্জেলেস, সান
ফ্রান্সিসকো, ফিলাডেলফিয়া, হিউস্টন, অস্টিন,
ডালাস,
লন্ডন,
জেনেভা,
ফ্রাংকফুর্ট, মস্কো,
আবুধাবি, দুবাই,
বেইজিং
ও
হংকংয়ে
অফিস
রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের
ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল
ও
প্রতিষ্ঠানের হয়ে
কাজ
করে।
অতিপ্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিদেশীরা : বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে
কিছু
বিদেশী
রাষ্ট্র অতিপ্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। এসব
প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতি উন্নয়নে তেমন
কোনো
অবদান
রাখছে
না।
উল্টো
সন্ত্রাসীরা হামলা
চালাতে
উৎসাহিত হচ্ছে।
বিদেশীদের কাছে
নিরাপত্তার জন্য
হুমকি
হতে
পারে
এমন
তথ্য
থাকলে
তা
নিয়ে
শোরগোল
না
করে
সরকারের সঙ্গে
শেয়ার
করা
উচিত।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ
অভিমত
ব্যক্ত
করেছেন।
বিদেশী
নাগরিক
হত্যা
নিয়ে
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের
কূটনীতিকদের অতিপ্রতিক্রিয়া না
দেখাতে
বলেছেন
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায়
নবনিযুক্ত শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত ইয়াসোজা গুনাসেকারার সঙ্গে
বৈঠকের
পরে
সংবাদ
ব্রিফিংয়ে তিনি
এ
কথা
বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
দুজন
বিদেশী
নাগরিক
খুন
হয়েছেন। আমি
কূটনীতিকদের এ
বিষয়ে
অতি
রিঅ্যাকশন (অতিপ্রতিক্রিয়া) দেখাতে
না
করেছি।
কারণ,
এতে
দুষ্কৃতকারীরা উৎসাহিত হয়।
তারা
মনে
করে,
বিদেশী
মারলে
বেশি
খবর
প্রকাশিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
আইএস
বলে
কিছু
নেই।
কাজগুলো করেছে
জামায়াত-শিবিরের লোক।
তিনি
বলেন,
আন্দোলন ও
জঙ্গি
হামলা
চালিয়ে
কিছু
করতে
না
পেরে
তারা
বিদেশী
নাগরিকদের হত্যা
করেছে।
ইতালি
ও
জাপানের নাগরিককে হত্যা,
তাজিয়া
মিছিলের প্রস্তুতিতে বোমা
হামলা
এগুলো
একসূত্রেই গাঁথা।
সাবেক
রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশীদের হায়
হায়
কি
হল!
ধরনের
প্রতিক্রিয়া দেখানো
উচিত
নয়।
তাদের
ধীরস্থিরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা
উচিত।
এ
অভিজ্ঞ
কূটনীতিক বলেন,
এ
রকম
ঘটনা
বিদেশে
হয়।
আমাদের
দেশে
হতো
না।
তাই
আমাদের
খুব
অস্থির
লাগছে।
বিদেশীদের ওপর
হামলা
হওয়া
উচিত
নয়।
সরকারকে এসব
হামলার
মোটিভ
খুঁজে
বের
করতে
হবে।
বিদেশীদেরও উচিত
সাবধানে চলা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন,
সরকার
চাপে
নেই
: পশ্চিমা দেশগুলোর বারবার
ভ্রমণ
সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার
কোনো
ধরনের
চাপে
নেই
বলে
মন্তব্য করেছেন
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি
বলেন,
বিভিন্ন দেশে
এ
ধরনের
সতর্ক
বার্তা
দেয়া
হয়ে
থাকে।
এটা
সরকারের প্রতি
কোনো
চাপ
নয়।
এছাড়া
বিএনপি-জামায়াত একটি সন্ত্রাসী গ্র“প বলেও তিনি
জানান।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে
আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
বলেন,
পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশে ভ্রমণ
সতর্কতা জারি
করেছে,
এ
ধরনের
সতর্ক
বার্তা
তারা
বিভিন্ন দেশেই
দিয়ে
থাকে।
এতে
দোষের
কিছু
নেই।
তবে
কয়েকটি
দূতাবাস তাদের
ভ্রমণ
সতর্কতায় আইএসের
কথা
বলেছে,
তা
আমরা
তুলে
দিতে
বলেছি।
ভ্রমণ
সতর্ক
বার্তার মাধ্যমে কোনো
দেশ
থেকেই
সরকার
চাপে
নেই
বলেও
তিনি
জানান।
বিদেশী
হত্যা
প্রসঙ্গে বলতে
গিয়ে
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম
বলেন,
অতীতেও
বাংলাদেশ নিয়ে
ষড়যন্ত্র হয়েছে।
এখনও
হচ্ছে।
অব্যাহতভাবে আমরা
বলছি
বাংলাদেশে আইএসের
কোনো
অবস্থান নেই।
পশ্চিমা দেশ
যারা
দাবি
করছে
তাদের
কাছে
অব্যাহতভাবে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ চেয়েও পাচ্ছি
না।
এটিই
প্রমাণ
করে
বাংলাদেশে আইএসের
কোনো
কর্মকাণ্ড নেই।
এখন
পর্যন্ত আমরা
এ
সংক্রান্ত কোনো
প্রমাণ
পাইনি।
জঙ্গি
দমনে
সরকার
অব্যাহতভাবে বিদেশী
রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে
যৌথ
কার্যক্রমে অংশ
নিচ্ছে
বলেও
জানান
প্রতিমন্ত্রী।